তিন মাস হয়ে গেল ফুটবলাররা খেলার বাইরে। ঘরোয়া ফুটবল পরিত্যক্ত, জাতীয় দলেরও কোন ক্যাম্প নেই। এক কথায় ঘরে বসেই অলস সময় কাটাচ্ছেন ফুটবলাররা। কারও ঘরে ব্যয়ামের সুযোগ আছে, কারও ঘরে নেই। কিন্তু মাঠে খেলতে হলে সবারই পূর্ণ ফিটনেস থাকতে হবে।
করোনার সময়ে ফুটবলাররা কীভাবে তাদের ফিটনেস ধরে রাখবে?- সে উপদেশ দিয়েছেন দেশের ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন। ফুটবলারদের দেয়া উপদেশ বার্তায় তিনি বলেছেন, ‘বাফুফের সভাপতি হিসেবে এ নির্দেশনা দিচ্ছি না। একজন সাবেক ফুটবলার ও কোচ হিসেবে কথাগুলো বলছি।’
ফুটবলারদের উদ্দেশ্যে দেয়া বিবৃতিতে কাজী মো. সালাউদ্দিন বলেছেন, ‘আজকে আমি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নয়, স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল, জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক খেলোয়াড়, আবাহনী ও মোহামেডানের ফুটবলার, আবাহনীর অধিনায়ক, বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক ও জাতীয় ফুটবল দলের প্রশিক্ষক হিসেবে কথাগুলো বলছি।’
‘সব তরুণ ও জাতীয় দলের ফুটবলারের প্রতি আমার একটা ছোট উপদেশ থাকল। করোনাভাইরাসের কারণে দুই-তিন মাস ধরে ফুটবল খেলা বন্ধ আছে। আমার উপদেশ হচ্ছে- ভোরবেলা যখন মানুষের চলাচল কম থাকে, বিশেষ করে ভোর ৬টার দিকে প্রতিদিন ১০-১২ মাইল জগিং করে তারপর ফিজিক্যাল এক্সারসাইজ জিম ও ছোট জায়গায় নিজেরা যেন ফুটবল অনুশীলন করে।’
কাজী মো. সালাউদ্দিন ফুটবলারদের উদ্দেশ্যে আরও বলেছেন, ‘তিন মাস হয়ে গেছে তোমরা ফুটবল খেলছ না। এতে তোমাদের কোয়ালিটি অনেক নেমে যাবে। আমার নিজের জীবন থেকে বলছি, ৬৯-৭০ সালের দিকে দেশে অনেক হরতাল ও কারফিউ হতো। তখন আমি আমাদের বাড়ির পেছনে লনে প্রায় ৩-৪ ঘন্টা অনুশীলন করতাম। পরবর্তীতে যখন ফুটবল খেলা শুরু হলো, তখন আমার মনে হয়নি আমি খেলার বাহিরে ছিলাম। এই উপদেশটা আমি ইয়ং এবং সিনিয়র খেলোয়াড়দের দিচ্ছি।’
‘লিগ তো শুরু হবে আজ, না হয় কাল। না হয় আরও কিছুদিন পরে। ফুটবল ক্যারিয়ারটি কিন্তু অনেক শর্ট। তোমরা যেন ক্যারিয়ার ধরে রাখতে পারো, ফুটবল খেলে সবাইকে পরিচিতি দিতে পারো আমার সে প্রত্যাশাই থাকবে। সবাই ভালো থাকবে। ধন্যবাদ।’