সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ নাসিমের শারীরিক অবস্থার তেমন কোনো পরিবর্তন নেই। তিনি রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভেন্টিলেশনে আছেন। চিকিৎসকেরা পরবর্তী পদক্ষেপ না নেওয়া পর্যন্ত এ অবস্থাতেই তাঁর চিকিৎসা চলবে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নাসিমের ছেলে তানভীর শাকিল জয় বলেন, তাঁর বাবার শারীরিক অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। চিকিৎসকদের নিবিঢ় পর্যবেক্ষণে আছেন তিনি।
মোহাম্মদ নাসিমের জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পালস একই রকম আছে। মেডিকেল বোর্ডের আরেক সদস্য বলেন, ষ্ট্রোক করার পর মোহাম্মদ নাসিমের মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার হয়। এরপর থেকেই তিনি আইসিইউতে আছেন। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। সে অবস্থাতেই আছেন তিনি।
গত শনিবার মোহাম্মদ নাসিমের চিকিৎসায় কনক কান্তি বড়ুয়াকে প্রধান করে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। পরে বৈঠক করে মোহাম্মদ নাসিমকে ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত দেয় পাঁচ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড।
রক্তচাপজনিত সমস্যা নিয়ে ১ জুন রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন মোহাম্মদ নাসিম। ওই দিনই তাঁর করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর ৪ জুন তাঁর অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও ৫ জুন ভোরে তিনি স্ট্রোক করেন। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত সমস্যার কারণে দ্রুত অস্ত্রোপচার করে তাঁকে আইসিইউতে রাখা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাধিকবার নাসিমের ছেলে তানভীর শাকিল ও অস্ত্রোপচারকারী চিকিৎসক রাজিউল হককে ফোন করে সাবেক এই স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সর্বশেষ শারীরিক অবস্থার বিষয়ে খোঁজখবর নেন। বার্তা সংস্থা বাসস এ তথ্য জানায়।
মোহাম্মদ নাসিম বর্তমান সরকারের খাদ্য মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি। তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের মুখপাত্রও তিনি।
২০১৪ সালের নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান মোহাম্মদ নাসিম। এর আগে ১৯৯৬-২০০১ সালের আওয়ামী লীগ সরকারের সময় একাধিক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।