শেয়ারের দাম কমার লাগাম টেনে ধরতে নতুন সার্কিট ব্রেকার চালু করা হলেও রোববার লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা দিয়েছে। প্রথম ২০ মিনিটের লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। এতে ঋণাত্মক হয়ে পড়েছে মূল্যসূচক।
অব্যাহত দরপতনের হাত থেকে শেয়ারবাজার রক্ষা করতে গত বৃহস্পতিবার নতুন সার্কিট ব্রেকার চালু করা হয়। এই সার্কিট ব্রেকার নির্ধারণ করতে গিয়ে তিনদফা পেছানো হয় লেনদেন শুরুর সময়। অবশ্য নতুন সার্কিট ব্রেকার নির্ধারণ করে দুপুর ২টায় শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয়। যা চলে আড়াইটা পর্যন্ত।
নতুন নিয়মের কারণে লেনদেন শুরুর আগেই বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়ে যায়। ফলে মাত্র আধাঘণ্টার লেনদেনেই ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স বাড়ে ৩৭১ পয়েন্ট। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ বাড়ে ১২২ পয়েন্ট। আর ডিএসইর শরিয়াহ বাড়ে ৮৪ পয়েন্ট।
নতুন সার্কিট ব্রেকারের নিয়ম অনুযায়ী, কোম্পানির শেয়ারের লেনদেন শুরু হবে শেষ পাঁচ কার্যদিবসের ক্লোজিং প্রাইসের গড় মূল্য দিয়ে। এর নিচে কোনো কোম্পানির শেয়ার দাম নামতে পারবে না। তবে দাম বাড়ার সীমা আগের মতোই থাকবে।
নতুন এই নিয়মের কারণে বৃহস্পতিবার সূচকের বড় উত্থান হলেও আজ লেনদেনের শুরুতে ভিন্ন চিত্র দেখা যাচ্ছে। প্রথম ২০ মিনিটের লেনদেনে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১২ পয়েন্ট।
অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট। আর ডিএসই শরিয়াহ কমেছে ১ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেয়া ১৭টি প্রতিষ্ঠানের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৫৭টির। আর ১০৯টির দাম অপরিবর্তিত।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই আগের দিনের তুলনায় ১৩ পয়েন্ট বেড়েছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১ কোটি ১৮ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেয়া ১১১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৪টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে ৯৭টির দাম অপরিবর্তিত।