নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণ করে বিয়ে করার অভিযোগে অপহরণকারী ও নিকাহ রেজিস্ট্রারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপহরণের শিকার ছাত্রীটির বাবা বাদী হয়ে মঙ্গলবার সকালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ডোমার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ডোমার উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের খাটুরিয়া গ্রামের মৃত দবির উদ্দিনের ছেলে মানিক ইসলাম (৩২) ও খাটুরিয়া সেণ্টারপাড়ার নিকাহ রেজিস্ট্রার কাজী মো. হাবিবুর রহমান (৬০)।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ডোমার বালিকা বিদ্যা নিকেতনের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে কয়েক মাস যাবত উত্ত্যক্ত করে আসছিল বৈদ্যুতিক মিস্ত্রী মানিক ইসলাম। গত ২৮ মে মেয়েটি তার খালার বাড়ি বেড়াতে যাচ্ছিল। এ সময় উপজেলার মেলাপাঙ্গা এলাকায় দুপুর ২টার দিকে মানিক তাকে অপহরণ করে মোটরসাইকেল যোগে নিকাহ রেজিস্ট্রার হাবিবুর রহমানের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে মেয়েটিকে জোড় করে একটি কাগজে স্বাক্ষর নেওয়া হয়। মানিক মেয়েটিকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে বিয়ের বিষয়টি প্রকাশ করতে নিষেধ করেন।
গত সোমবার বিকালে মেয়েটি তার নানা বাড়ি যাওয়ার সময় পাঙ্গামটকপুর মুছার মোড় নামক স্থানে মানিক তাকে আবারও জোড় করে মোটরসাইকেলে উঠানোর চেষ্টা করে। এসময় মেয়েটির চিৎকারে এলাকার লোকজন তাদের আটক করে ডোমার থানা পুলিশে দেয়। পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার দেখিয়ে মানিককে আটক করে। মানিকের দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রাত ৮ টার দিকে নিকাহ রেজিস্ট্রার কাজী হাবিবুর রহমানকে তার বাড়ি থেকে আটক করেন।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে মেয়েটির বাবা বাবলু ইসলাম বাদী হয়ে ডোমার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করলে ওই মামলায় পুলিশ তাদের দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠায়।
ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তাফিজার রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মেয়েটির বাবার দায়ের করা মামলায় কাজী ও অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
লাইট নিউজ