করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে দেয়া লকডাউন শিথিল হতে শুরু করেছে ইউরোপের দেশগুলোতে। কয়েকটি দেশ স্কুলও খুলে দিয়েছে। এতে ভাইরাসের সংক্রমণ পুনরায় বেড়ে যেতে পারে, এমনাটই আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে আশ্বস্ত করে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্যভুক্ত দেশগুলোর শিক্ষামন্ত্রীরা বলেছেন, এতে ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়েনি।
দ্য গার্ডিয়ানের বরাতে জানা যায়, গত এপ্রিলে ইউরোপের ২২টি দেশ স্কুল খুলে দিয়েছে। এর মধ্যে ১৭টি দেশে শুধু কিন্ডারগার্ডেন শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুল খুলে দেয়া হয়েছে।
ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে সর্বপ্রথম স্কুল খেলেছে ডেনমার্ক। অনেক সমালোচনার পর গত ১৫ এপ্রিল তারা স্কুল খুলে দেয়।
এ বিষয়ে ক্রোয়েশিয়ার শিক্ষামন্ত্রী ও ইইউ এর বর্তমান প্রেসিডেন্ট ব্লায়েঙ্কা ডিভজাক বলেন, স্কুল খোলার বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। এ বিষয়ে ইতিবাচক দিকগুলো যত্নসহ প্রাধান্য দিতে হবে।
ইইউ এর বৈঠক শেষে ডিভজাক বলেন, যদি কোনোভাবে সংক্রমণ বেড়ে যায় কিংবা কোনো খারাপ প্রভাব পড়ে তাহলে সে বিষয়ে অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে হবে। যেসব স্কুল কার্যক্রম শুরু করেছে তাদের খুব সতর্কতার সঙ্গেই এগোতে হচ্ছে। আমরা আপাতত এক কক্ষে ১৫ জনের বেশি না রাখার নির্দেশনা দিয়েছি। নতুন এই পরিস্থিতির সঙ্গে শিক্ষার্থী, তাদের বাবা-মা, শিক্ষকদের কীভাবে খাপ খাওয়াতে হবে সে বিষয়ে বিশেষ ট্রেনিংও দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এখনন পর্যন্ত আমাদের কাছে কোনো খারাপ তথ্য বা ঘটনার আলামত এসে পৌঁছায়নি। যদিও এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। আরো কিছুদিন স্কুলগুলো তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করুক, তারপর বলা যাবে।
শিক্ষার্থীদের স্কুলে পাঠানোর বিষয়ে তাদের বাবা-মাকে উদ্দেশ্যে করে ফ্রান্সের শিক্ষামন্ত্রী জিন-মিশেল ব্লানকুয়ের বলেন, আপনার সন্তানকে স্কুলে পাঠান। কারণ বাড়িতে বন্দি থাকা তাদের জন্য অত্যন্ত বিপদজ্জনক।
ফ্রান্সে আট সপ্তাহ পর লকডাউন স্থগিত করে জনজীবন স্বাভাবিক করার চেষ্টায় আছে সরকার। গ্রীন জোনগুলোতে স্কুল খুলে দেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা ক্লাসও করছে।
ব্লানকুয়ের বলেন, আমরা অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়েই স্কুলগুলো খুলেছি। কারণ আমরা চাই না এই ভাইরাসের কারণে আমাদের একটি জেনারেশন হারিয়ে যাক। তবে ধীরে ধীরে স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। এটি অবশ্যই ভালো খবর।
তিনি বলেন, বিভিন্ন চিকিৎসকের মতে স্কুলে যাওয়া বাড়িতে গৃহবন্দি থাকার চেয়ে কম ক্ষতিকর। কেননা বাড়িতে এভাবে বসে থাকলে শিশুদের মানসিক বিকাশে বড় সমস্যা দেখা দিতে পারে।
লাইট নিউজ