রাজধানীর গুলশানে হিজামা থেরাপী সেন্টার অ্যান্ড বডি ম্যাসেজের অভিযানে গ্রেপ্তার প্রতিষ্ঠানটির মালিক ও ম্যানেজারের এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এছাড়া মামলার অপর ৮ আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সাঈদ এ আদেশ দেন। রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন-হিজামা থেরাপী সেন্টার অ্যান্ড বডি ম্যাসেজের মালিক রাজিয়া খাতুন ওরফে ফারিয়া এবং ম্যানেজার ইমরান খান। কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন-মো. আল আমিন, রাকিবুল হাসান, আল আমিন, মুহিদ আলী মিঠু, হোসনে আরা খাতুন, লিলি, গীতি দেউরী ও জয়া চাম্বু।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রেজাউল আলম ১০ আসামিকে আদালতে হাজির করেন। ফারিয়া ও ইমরানের ৫ দিন করে রিমান্ড আবেদন এবং অপর ৮ আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
আবেদনে বলা হয়, গুলশান থানাধীন নাভানা টাওয়ারে হিজামা থেরাপী সেন্টার অ্যান্ড বডি ম্যাসেজ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে উঠতি বয়সের যুবতী ও নারীদের একত্রিত করে অবৈধ দেহ ব্যবসা পরিচালনা করে যৌন শোষণ ও নিপীড়নমূলক কাজ পরিচালনা করে আসছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত পৌনে ৯ টার দিকে সেখানে অভিযান চালিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত এবং পতিতাবৃত্তির জন্য প্রস্তুত রাখা অবস্থায় আসামিদের আটক করা হয়। তারা পতিতবৃত্তির কথা স্বীকার করে। ফারিয়া এবং ইমরান স্পা সেন্টারটিকে মিনি পতিতালয় হিসেবে ব্যবহার করে অনৈতিক পরিচালনা করে আসছিল।
মামলার মূল রহস্য উদঘাটন, তাদের সঙ্গে অপরাপর কেউ জড়িত আছে কিনা তা যা যাচাই বাছাইয়ের জন্য ফারিয়া ও ইমরানের রিমান্ড আবেদন এবং অপর ৮ আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
দুই আসামির পক্ষে তাদের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। অপর ৮ আসামিরও জামিন আবেদন করেন তাদের আইনজীবীরা। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন। এ ঘটনায় গুলশান থানার এসআই মশিউর রহমান ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।
লাইটনিউজ