অবশ্যই সব ফলই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী ও প্রয়োজনীয়। কিন্তু এই কথাটাই ব্যতিক্রম হয়ে যায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য। এই রোগে আক্রান্তদের বাছ-বিচার করে খাবার গ্রহণের পাশাপাশি ফল গ্রহণের দিকেও সমানভাবে নজর রাখতে হয়। কারণ ফলে থাকা চিনিও তখন তাদের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে ওঠে।
লেবু
সাইট্রাস ঘরানার ফল লেবুর স্বাদ হয় একেবারেই টক। ফলে এতে থাকে উচ্চমাত্রার ভিটামিন-সি এবং এতে কোন ধরণের চিনি থাকে না। প্রতিদিন সকালে লেবুর রস পানিতে মিশিয়ে পান করলে মেটাবলিজম বৃদ্ধি পাবে এবং কার্ব গ্রহণের চাহিদা কমে আসবে। যা ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের জন্য খুবই উপকারী ও প্রয়োজনীয়।
স্ট্রবেরি
এই ফলটি স্বাদে টক হলেও এতে মিষ্টিভাবও রয়েছে। তবে এক কাপ পরিমাণ স্ট্রবেরি থেকে মাত্র ৭ গ্রাম পরিমাণ চিনি পাওয়া যায়। এছাড়া এই এক কাপ স্ট্রবেরি একদিনের ভিটামিন-সি’র চাহিদা পুরনে কাজ করবে। সেদিক থেকে স্ট্রবেরি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কোন সমস্যা তৈরি করবে না।
গ্রেপফ্রুট
এটাও সাইট্রাস ঘরানার একটি ফল এবং অনেকটা জাম্বুরার মত। গ্রেপফ্রুটে থাআ উচ্চমাত্রার আঁশ ও নিম্নমাত্রার চিনি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সঠিক ফল হিসেবে কাজ করবে। মাঝারি আকৃতির অর্ধেকটি গ্রেপফ্রুটে থাকে ৫২ ক্যালোরি ও নামেমাত্র চিনি। এছাড়া ফলটি থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি ও পটাশিয়ামও পাওয়া যাবে।
তরমুজ
তরমুজ ছাড়া কোন গ্রীষ্মকাল হয় কী! স্বাদে দারুণ মিষ্টি প্রাণ জুড়ানো এই ফলটির অধিকাংশই পানি ও জলীয় অংশ এবং চিনির উপস্থিতি থাকে খুবই অল্প। এক কাপ পরিমাণ তরমুজে চিনি থাকে মাত্র ১০ গ্রাম। তাই মিষ্টি এই ফলটি খাওয়ার ক্ষেত্রে খুব একটা চিন্তা করতে হবে না ডায়াবেটিস রোগীদের।
কমলালেবু
একটি সম্পূর্ণ কমলালেবু খাওয়ার মাধ্যমে খুব সহজে ও দ্রুততম সময়ে শরীরের ভিটামিন-সি’র চাহিদা পূরণ করে নেওয়া সম্ভব হয়। টকমিষ্টি স্বাদের লোভনীয় এই ফলটি থেকে পাওয়া যাবে মাত্র ৭০ ক্যালোরি ও ১২ গ্রামের মত চিনি। যা ডায়াবেটিস রোগীদের খাওয়ার জন্য নিরাপদ।
অ্যাভোকাডো
আমাদের দেশে খুব একটা সহজলভ্য না হলেও, সুপার শপগুলোতে পাওয়া যাবে অ্যাভোকাডো। প্রাকৃতিকভাবেই এই ফলটিতে থাকে খুব অল্প চিনি। একটি কাঁচা অ্যাভোকাডো থেকে পাওয়া যাবে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন-সি, ভিটামিন-কে, ফলেট ও পটাশিয়াম। যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী।
লাইট নিউজ/আই