করোনা মোকাবেলায় দেশে আক্ষরিক অর্থেই একটা ‘লেজেগোবরে অবস্থা’ তৈরি হয়েছে। বারবার লকডাউনের কথা বলা হলেও সেটা কার্যকর করা হচ্ছে না। নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো হবে বলে কথা দিয়েও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কথা রাখেনি। উল্টো কিটের অভাবে দেশের বেশ কয়েক জায়গায় নমুনা পরীক্ষা বন্ধ হয়ে গেছে। সরকারের কাছে কী পরিমান কিট মজুদ আছে, সেটা নিয়েও ‘লুকোচুরি’ খেলছে কর্তৃপক্ষ। এমনও অভিযোগ আছে, কিট থাকলেও সিন্ডিকেটের কারণে তা ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
কর্তৃপক্ষের হাতে কী পরিমান কিট মজুদ আছে, বারবার প্রশ্ন করেও এর সদুত্তর পাওয়া যাচ্ছে না। স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে কখনো বলা হচ্ছে সংকট নেই, আবার বলা হচ্ছে আছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যে পরিমান কিট আছে তাকে আরো ৪-৫ দিন সারা দেশে নমুনা পরীক্ষার কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়া সম্ভব। এই সময়ের মধ্যে কিট না জোগাড় করলে হুমকির মুখে পড়বে করোনার মোকাবেলার পুরো কার্যক্রম।
গত সোমবার নোয়াখালীর এমপি একরামুল করিম চৌধুরীর এক বক্তব্যে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি হয়। তিনি অভিযোগ করেছেন, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী- এই তিন জেলায় কিটের অভাবে নমুনা পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। সাংবাদিকরা খোঁজ নিয়ে এই অভিযোগের সত্যতাও পেয়েছেন। কিন্তু এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বশীলরা। এমপি একরামুল ‘সিন্ডিকেটের কারণে কিট আটকে আছে’ বলেও মন্তব্য করেছেন।
কিট সংকট কী পরিমান, সেটা না জানা গেলেও সংকট যে আছে সেটা নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিজেই। গত সোমবার এক আলোচনায় তিনি বিষয়টি স্বীকার করে নিয়ে বলেন, আমরা দ্রুত কিট জোগাড় করার চেষ্টা করছি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদও কিট চেয়ে চিঠি লিখেছেন কেন্দ্রীয় ঔষধাগার বরাবর। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
লাইটনিউজ/এসআই