অভিনেত্রী মহিমা চৌধুরী, যাকে এখন আর সিনেমার পর্দায় দেখা যায় না। ১৯৯৭ সালের পরদেশ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ ঘটে তার।
এই ভারতীয় অভিনেত্রী এবং নেপালি বংশদ্ভুত সাবেক মডেল এখন বড় পর্দা থেকে কেন এতটা দূরে? তা নিজেই জানালেন তিনি। তার সিনেমা না করার কারণ তিনি জনপ্রিয় বিনোদনের ওয়েবসাইট পিঙ্কভিলাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জানালেন।
মহিমা চৌধুরী বলেন, ‘আমি এখনও লড়ছি জীবনের সঙ্গে। আয়নার সামনে দাঁড়াতে ভয় পাই। একটা দুর্ঘটনা জীবনকে একেবারে বদলে দিয়েছে। তখন আমি কাজল ও অজয় দেবগণের সঙ্গে দিল ক্যায়া করে ছবিতে অভিনয় করছি। স্টুডিওতে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ করে একটা লরি আমার গাড়িতে এসে ধাক্কা মারে। গুরুতর আহত হই। গাড়ির কাচ ভেঙে আমার মুখের অনেকাংশে ঢুকে যায়। মোট ৬৭ কাচের টুকরো আমার মুখের নানা অংশ থেকে বের করা হয় অপারেশন করে। চলে একের পর এক সার্জারি।’
‘আমার ঘরে কোনো আয়না নেই, লাইট নেই। সূর্যের আলো ঢুকতে দেয়া মানা। কেননা, আমি যে ওষুধ ব্যবহার করি, তাতে এগুলো সব মানা করা রয়েছে। এতে দ্রুত আমার মুখের দাগ দূর হবে। দুঃখ এটাই এই সময় আমার পাশে কেউ নেই। অনেক ছবির অফার ফিরিয়ে দিয়েছি। আর নতুন করে কাউকে কিছু বলি না। কারণ, সবাই বলে আমার মুখশ্রী তো নষ্ট হয়ে গেছে।’
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে ‘দিল ক্যায়া কারে’ ছবির শুটিংয়ের সময় বেঙ্গালুরুতে ওই সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি আহত হন।