বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র। জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর ঘটনায় মিনেসোটা অঙ্গরাজ্য থেকে ক্ষোভের আগুন ছড়িয়েছে পুরো আমেরিকাজুড়ে। আনুষ্ঠানিক ময়নাতদন্তের পর তার মৃত্যুকে ‘হত্যাকাণ্ড’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশ আটক করার পর ৪৬ বছর বয়সী ফ্লয়েড হৃদরোগে আক্রান্ত হন। মৃত্যুর কারণ হিসেবে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের গলায় চাপ বা আটকে ধরার কারণে দম বন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
এক প্রত্যক্ষদর্শীর ধারণ করা ১০ মিনিটের ভিডিওতে দেখা যায়, শ্বেতাঙ্গ পুলিশ অফিসার গলায় হাঁটু চেপে ধরায় ফ্লয়েড নিঃশ্বাস না নিতে পেরে কাতরাচ্ছেন এবং বারবার বলছেন, ‘আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছি না’।
ওই ঘটনায় অফিসার ডেরেক চাওভিনের বিরুদ্ধে তৃতীয় পর্যায়ে হত্যা ও অনিচ্ছাকৃত বা বেআইনি হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে তাকে আদালতে তোলা হবে। এছাড়া তিন শ্বেতাঙ্গ পুলিশ অফিসারকেও বরখাস্ত করা হয়েছে।
ময়নাতদন্তে জর্জ ফ্লয়েডের হৃদরোগ ও সাম্প্রতিক মাদক গ্রহণের প্রমাণও পাওয়া গেছে। তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, পুলিশ অফিসার চেপে ধরলে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
এর আগে ফ্লয়েডের পরিবারের পক্ষ থেকে আরেকটি পরীক্ষা করা হয়। সেখানে বলা হয় পুলিশ গলা ও ঘাড়ে চাপ প্রয়োগ করায় তিনি অক্সিজেন চলাচলের বাধাজনিত অ্যাসফিক্সিয়ায় আক্রান্ত হন।
পরিবারের নিযুক্ত আইনজীবী বেঞ্জামিন ক্রাম্প বলেন, পুলিশ ডেরেক চাওভিন যদি ঘাড়ে হাঁটু দিয়ে চাপা না দিতেন ফ্লয়েড বেঁচে থাকতেন।