নিহত মোস্তাক আহমেদের (২৪) বাড়ি সিলেটের টুকের বাজার এলাকায়।
হবিগঞ্জ শহরে ছাত্র-জনতার সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে এক শ্রমিক মারা গেছেন।
শুক্রবার বিকেলে তিনি মারা যান।
নিহত মোস্তাক আহমেদের (২৪) বাড়ি সিলেটের টুকের বাজার এলাকায়। তিনি পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (পিজিবি) ঠিকাদারের অধীনে বিদুৎ শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।
হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মঈন উদ্দীন চৌধুরী তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘মোস্তাকের হাতে বড় ধরনের আঘাত ছিল। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।’
কী ধরনের আঘাত সেটি জানাননি তিনি।
তবে পিজিবির ঠিকাদারের সুপারভাইজার নূর বখত বলেন, ‘মোস্তাক আমার অধীনে কাজ করতেন। দুই দিন আগে আমরা হবিগঞ্জে কাজ করতে এসেছি, এখানে ভাঙাপুল এলাকায় ছিলাম। আজ জুমার নামাজের পর মোস্তাক শহরে যান জুতা কিনতে। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে হাসপাতালে আনা হয়। খবর পেয়ে আমরা হাসপাতালে এসে দেখি তিনি মৃত।’
হবিগঞ্জে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘মাঠেই আছি। ঘটনাটি বলতে পারছি না।’
আজ দুপুরে জুমার নামাজের পর হবিগঞ্জ শহরে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ শুরু হয়।
হবিগঞ্জে আন্দোলনের সমন্বয়ক আনাস মোহাম্মদ বলেন, ‘আমরা আওয়ামী লীগের অফিসের সামনে দিয়ে মিছিল করে যাচ্ছিলাম। তখন আওয়ামী লীগের লোকজন পিছন থেকে হামলা করে। সংঘর্ষ বাঁধে। ঠিক সেই সময় কে বা কারা আওয়ামী লীগের আগুন দেয়।’