ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ও তার সহযোগী সহসভাপতি এনামুল হক আরমান সিঙ্গাপুর এবং মালয়েশিয়ায় প্রায় ২০০ কোটি টাকা পাচার করেছেন।
সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে সিআইডি সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ২০১১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে ৩৫ বার, মালয়েশিয়ায় ৩ বার, দুবাইতে দুইবার এবং হংকংয়ে একবার ভ্রমণ করেছেন। তার সহযোগী এনামুল হক আরমান এই সময়ে সিঙ্গাপুরে ২৩ বার ভ্রমণ করেছেন। সম্রাটের ক্যাশিয়ার হিসেবে পরিচিত ছিলেন আরমান। ওই সময়ের মধ্যে সম্রাট ও আরমান মোট ৫৮ বার সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন।
সম্প্রতি এ অর্থপাচারের প্রমাণ পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। অনুসন্ধান শুরুর আট মাসেরও বেশি সময় পর গতকাল রোববার রমনা থানায় তাদের বিরুদ্ধে অর্থপাচার আইনে মামলা করেছে সংস্থাটি।
সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জিসানুল হক জানান, সম্রাট ও তার সহযোগী আরমান সিঙ্গাপুর-মালয়েশিয়ায় প্রায় ২০০ কোটি টাকা পাচার করেছেন বলে প্রমাণ পাওয়ার পর মামলা করা হয়েছে। এর আগে সম্রাটের বিরুদ্ধে রমনা থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে পৃথক মামলা হয়। এছাড়া জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে সম্রাটের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনও মামলা করেছে।
গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার মতিঝিলের ক্লাবপাড়ায় র্যাবের অভিযানে অবৈধ ক্যাসিনো চলার বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট আত্মগোপনে চলে যান। এরপর ৭ আগস্ট কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেফতার করে র্যাব।
লাইটনিউজ