প্রায় তিন দশক পর বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলার রায় ঘোষণা হতে চলেছে। ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংস হয়েছিল। প্রবীণ বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলিমনোহর জোশী, উমা ভারতীর মতো নেতা-নেত্রীরা বাবরি মসজিদ ভাঙার ষড়যন্ত্র, পরিকল্পনা ও উস্কানিতে লিপ্ত ছিলেন কিনা, বুধবার সে বিষয়েই রায় দিতে চলেছে আদালত।
লক্ষ্নৌর বিশেষ সিবিআই আদালতে এই মামলার রায় হবে। স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় রায় ঘোষণার প্রক্রিয়া শুরু হবে। রায় ঘোষণা করবেন বিচারক সুরেন্দ্রকুমার যাদব।
এর আগে রায় ঘোষণার সময় অভিযুক্তদের সশরীরে আদালতে হাজির থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে হৃষীকেশের হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন উমা ভারতী।
এছাড়া এই মহামারির মধ্যে বার্ধক্যজনিত কারণে লালকৃষ্ণ আডবাণী এবং মুরলিমনোহর জোশী আদালতে যাবেন না বলে জানিয়েছেন আডবাণীর সচিব দীপক চোপড়া। আদালত ব্যবস্থা গ্রহণ করলে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তারা আদালতে হাজিরা দেবেন বলে জানিয়েছেন।
বাবরি মসজিদ ধ্বংসের সময় উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন কল্যাণ সিং। তিনিও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমেই আদালতে হাজিরা দিতে চান বলে জানানো হয়েছে।
বাবরি ধ্বংস মামলায় মোট ৪৯ জন অভিযুক্তের মধ্যে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের অশোক সিংহল, শিবসেনার বাল ঠাকরে, অযোধ্যার পরমহংস রামচন্দ্র দাসের মতো ১৭ জন ইতোমধ্যেই মারা গেছেন। বাকি ৩২ জনের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছেন আইনজীবী কেকে মিশ্র।
তিনি বলেন, রায় ঘোষণার সময় কে আদালতে উপস্থিত থাকবেন আর কে থাকবেন না, এখনই তা বলা সম্ভব নয়। তবে আজই এর রায় ঘোষণা হবে। রায় ঘোষণার সময়ই জানা যাবে কে উপস্থিত রয়েছেন আর কে নেই।
তবে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, আডবাণী-জোশী এবং উমা ভারতীর মতো কয়েকজন আদালতে হাজিরা না দিলেও ৩২ জনের মধ্যে ২৬ জন অভিযুক্ত রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত থাকতে পারেন।
এজন্য আদালত চত্বরের নিরাপত্তায় কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। অভিযুক্ত, তাদের আইনজীবী এবং সিবিআইয়ের আইনজীবীরা ছাড়া আর কারও আদালতে ঢোকার অনুমতি নেই।
আজ একটি মাত্র ফটক দিয়েই আদালতে ঢোকা যাবে। অযথা যেন বিশৃঙ্খলা তৈরি না হয় সেজন্য আদালত সংলগ্ন রাস্তাগুলোতে ব্যারিকেড বসানো হয়েছে। যান চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে অন্য রাস্তা দিয়ে।