হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : টিপলু দেব। হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার লামাতাসী গ্রামের দিগেন্দ্র দেবের ছেলে। তিনি ছাদবাগান গড়ে সফল হয়েছেন। এখন অনেকেই জানেন তার শখের ছাদবাগানের কথা।
নিজের একতলা ভবনের ছাদে শোভা পাচ্ছে দৃষ্টিনন্দন এই ফলের বাগান। এতে স্থান পেয়েছে আম, পেয়ারা, কাশ্মিরী আপেল কুল, জাম্বুরা, করমচা, মাল্টা, ডালিম, পেঁপে, লেবু, ড্রাগনসহ নানা প্রজাতির ফল, ফুল ও ঔষধি গাছ।
জানা গেছে, টিপলু দেবের এই ছাদবাগানের বয়স ২ বছর। বর্তমানে তার বাগানে ৭০টি গাছ রয়েছে। গাছে গাছে ফল ও ফুল আসছে। এসব ফল খেতেও সুস্বাদু। ফল, ফুল ও ঔষধি চাষে তিনি কেমিক্যাল ব্যবহার করেন না। গাড়ির ব্যবসার পাশাপাশি তিনি শখের ছাদ বাগানের পরিচর্যায়ও সময় দেন। প্রয়োজনে শ্রমিকদের দিয়েও পরিচর্যা করান।
টিপলু দেব বলেন, শুধু ছাদের উপরে নয়, নিচে ভবনের চারপাশেও ফলের গাছ রোপণ করেছি। গাছ ছাড়া পরিবেশ চিন্তা করা যায় না। গাছ আমাদের অনেক কিছু দেয়। বিশেষ করে বর্তমানে বাজারে কেমিক্যাল মুক্ত ফল পাওয়া কঠিন। তাই পরিবেশবান্ধব গাছের চারা সংগ্রহ করে ছাদ বাগানটি তৈরি করেছি। আরও নতুন চারা এনে রোপণ করার চেষ্টা করছি। গাছের ফলগুলো পরিবারের সবাই মিলে খেয়ে তৃপ্তি পাচ্ছি। ফুল দিয়ে পূজা করতে পারছি। ঔষধি গাছ বিরাট উপকারে আসছে।
তিনি জানান, সবজি ও ফল চাষের প্রতি তার বরাবরই প্রবল আগ্রহ। এ কারণে তিনি বাড়ির ছাদেই ফল, ফুল ও ঔষধির চাষ করছেন। কঠোর শ্রম, অধ্যবসায় থাকলে যে কেউ প্রতিষ্ঠিত হতে পারে বলে মনে করেন তিনি। তার দৃষ্টিনন্দন ছাদবাগান ইতোমধ্যে অনেকেরই প্রশংসা কুড়াতে সক্ষম হয়েছে।
টিপলু দেব আরও বলেন, দ্বিমুড়া কৃষি ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীমের সার্বিক সহযোগিতায় আমি এ ছাদবাগান করে সফল হয়েছি। আমার সফলতা দেখে একই গ্রামের কাছুম আলী, নিকটবর্তী গ্রাম ভুলকোর্টের সমুজ আলী ও অনু মিয়া, পূর্ব শিমুলিয়াম গ্রামের আমিনুল ইসলাম, শিবপাশা গ্রামের নুরুল ইসলাম ছাদ বাগান করেছেন। তারাও সফলতা পাচ্ছেন।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীম বলেন, চেষ্টা করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। আমি পরামর্শ দিয়েছি। আর নিজের শ্রম ও মেধা কাজে লাগিয়ে ছাদবাগান করে টিপলু দেব সফল। তার ন্যায় গ্রামের অন্য লোকজনও ছাদবাগান করছেন। নিয়মিত পরিচর্যা করলে ছাদবাগানে বিষমুক্ত ফসল চাষ করে লাভবান হওয়া সম্ভব।
টিপলু দেবের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানান জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. তমিজ উদ্দিন খান। তিনি বলেন, ফলের পুষ্টিগুণ অনেক। তাই সবার উচিৎ বাড়ি বাড়ি বাগান গড়ে তোলা। বাড়িতে ছাদবাগান তৈরি করতে কৃষি বিভাগ সার্বিকভাবে সহযোগিতা করবে।