পুলিশি বাধায় পণ্ড হয়েছে জাতীয় পার্টির কর্মী সমাবেশ। এসময় সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান থেকে পানি নিক্ষেপ করা হয়। এতে নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েন।
শনিবার (১১ অক্টোবর) বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটের দিকে কাকরাইলে এ ঘটনা ঘটে। এসময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন দলটির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের ও মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারীসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে দলটির কো-চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার বক্তব্য দেওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে।
দলটির নেতাকর্মীদের অভিযোগ, কো-চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান বক্তব্য দেওয়ার সময় রমনা থানার দিক থেকে সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান থেকে পানি নিক্ষেপ করা হয়। এতে নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েন।
জাপা মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, এটি একটি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ছিল। সংক্ষিপ্ত সমাবেশ ছিল। সম্পূর্ণ অযাচিতভাবে সমাবেশ ভন্ডুল করে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে এটা করেছে। পুলিশের সংযত আচরণ করা উচিত ছিল। আমাদের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। পুলিশ যেভাবে পেছন থেকে আক্রমণ করেছে, পানি ছিটিয়েছে তাতে পদদলিত হয়ে অনেক মানুষ মারা যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। পুলিশ দায়িত্বহীন আচরণ করেছে।
রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মাসুদ আলম বলেন, জাতীয় পার্টি আমাদের কাছে একটি আবেদন করেছিল, সেটা আমরা গ্রহণ করিনি। এটা তো রাস্তা, আপনারা তো রাস্তায় কর্মসূচি পালন করতে পারেন না। মৌখিকভাবে আমরা তাদেরকে বলেছিলাম রাস্তার দখল করে কর্মসূচি পালন না করতে। কিন্তু তারা রাস্তার উপরে চেয়ার বসিয়ে মঞ্চ স্থাপন করে। আমরা তাদেরকে কয়েকবার সতর্ক করেছিলাম। আমাদের পুলিশ কর্মকর্তা, রমনা থানার ওসি নিজে গিয়ে তাদেরকে রাস্তা ছাড়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন।
তিনি আরও বলেন, তারপরও তারা সরে না গেলে আমরা ছত্রভঙ্গ করার জন্য যা যা করার দরকার ছিল, তা তা করেছি।
তারা অনুমতি পেয়েছিল কি না জানতে চাইলে মাসুদ আলম বলেন, আমরা তো তাদেরকে সমাবেশ করার অনুমতি দিইনি বা তারা অনুমতি পায়নি, এমন কোনো তথ্য আমার জানা নেই। তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করার জন্য সাউন্ড গ্রেনেড মেরেছে শুনতে পেয়েছি, তাদের পক্ষ থেকে ককটেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। এটা নিশ্চিত হতে পারিনি। এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।