দীর্ঘ সময় পর বিশ্ব ব্যাপী খুলতে শুরু করেছে পর্যটনের দুয়ার। করোনার বিধি নিষেধ কার্যত উঠে গেছে। বাংলাদেশী পর্যটকদের জন্য থাইল্যান্ড ভ্রমণ সহজ করেছে সে দেশের সরকার। তবে বাংলাদেশ থেকে যারা থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে আসেন তাদের জন্য বাংলাদেশী খাবারের এক বিশাল সমারহ নিয়ে হাজির হয়েছে লিটল স্পাইসী রেস্টুরেন্ট। শতভাগ বাঙ্গালীয়ানা স্বাদের খাবার পরিবেশন করে পুরো থাইল্যান্ড ব্যাপী প্রসংশিত হয়েছে এই রেস্টুরেন্টটি।
সরেজমিন দেখা গেছে, থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক শহরের একেবারেই প্রান কেন্দ্রে সই ১১ তে হোটেল অ্যাম্বাসেডর এর এম প্লাজায় অবস্থিত এই রেস্টুরেন্টটি।
রেস্টুরেন্ট কতৃপক্ষ জানিয়েছেন, করোনার তিন বছর টানা লোকসান হয়েছে। তারপরও ব্যবসা চালিয়ে যাওয়া হয়েছিল। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে নতুন উদ্যমে রেস্টুরেন্টটির কার্যক্রম শুরু হয়। এই রেস্টুরেন্টে প্রায় ১০০ জনের ধারন ক্ষমতা রয়েছে। বাংলাদেশি, থাই এবং ভারতীয় শেফসহ প্রায় ২৫ জন কর্মচারী এখানে নিয়মিত সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। রেস্টুরেন্টে খাবারের পাশাপাশি ব্যাংককে নির্ধারিত সীমানার মধ্যে হোম ডেলিভারিও দেয়া হয়।
রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ আরো জানান, এখানে সাদা ভাত, আলু ভর্তা, ডাল, বেগুন ভর্তা, চিংড়ি ভর্তা, মাছ ভর্তা, হায়দ্রাবাদী বিরিয়ানি, নান রুটি, প্লেন রুটি, কোরাল, টেংরা, পাবদা, রুই, গরুর মাংসসহ নানান ধরনের খাবার পরিবেশন করা হয়। ডেজার্ড হিসেবে জিলাপী, গোলাপ জামুন, সেমাই, ফিন্নিও সরবরাহ করা হয়। এ ছাড়াও কোক, স্প্রাইডসহ নানান ধরনের ড্রিংকও রয়েছে।
হোটেলের দায়িত্বরত কর্মচারীরা জানান, করোনার পর বাংলাদেশী পর্যটকদের ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। প্রতিদিন অসংখ্য পর্যটক এখানে খাবার খেতে আসেন। রেস্টুরেন্টটি সকাল ৭টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
রেস্টুরেন্টটির কর্মীরা জানান, মোটামুটি ২০০ বাথ হলে দু’জন মানুষ খুবই স্বাচ্ছন্দে পেটপুরে খেতে পারেন। ভাত, ডাল েএবং একটি সবজি মিলবে এই টাকায়। যা একেবারেই কম টাকায় স্বাস্থ্য সম্মত খাবার মিলবে।