সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ০২:২১ পূর্বাহ্ন

স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতির সব তথ্য জনগণ জানতে পারবে

লাইটনিউজ রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ২৬ জুন, ২০২০

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতির অনুসন্ধানের সব তথ্য জনগণ জানতে পারবে। কোনো তথ্যই গোপন থাকবে না। শুক্রবার সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে বেশকিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ২০১৭ সালেই স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতি প্রতিরোধে প্রাতিষ্ঠানিক টিম গঠন করেছিল কমিশন। ২০১৯ সালের শুরুতে স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতির ১১টি উৎস ও তা নিয়ন্ত্রণে ২৫ দফা সুনির্দিষ্ট সুপারিশ সংবলিত কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত একটি প্রতিবেদন দুদক কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও সচিবের কাছে হস্তান্তর করেন।

পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনটি বাস্তবায়ন করা গেলে হয়তো স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতির লাগাম কিছুটা হলেও টেনে ধরা সম্ভব হতো বলে মনে করেন ইকবাল মাহমুদ।

তিনি বলেন, ঢাকা, সাতক্ষীরা, রংপুর, চট্টগ্রাম, ফরিদপুরসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা সামগ্রী ক্রয়ে দুর্নীতির অভিযোগেও কমিশন থেকে ১১টি মামলা করা হয়। এসব মামলায় সম্পৃক্ত ১৪টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করার বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করা হয়েছে।

ইকবাল মাহমুদ জানান, সংশ্লিষ্ট এসব অনুসন্ধান ও তদন্ত এখনও চলমান রয়েছে। হয়তো আরও মামলা হবে, আরও প্রতিষ্ঠান কালো তালিকাভুক্ত করার সুপারিশ করা হবে। স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কমিশন শুন্য সহিষ্ণুতার নীতি অনুসরণ করছে বলেও জানান তিনি।

দুদক চেয়ারম্যান আরও বলেন, কোভিড-১৯ এর চিকিৎসা সামগ্রী ক্রয়ে দুর্নীতির অভিযোগ এসেছে। কমিশন অভিযোগটি আমলে নিয়ে অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছে। এই অনুসন্ধানটি হতে হবে নির্মোহ ও পূর্ণাঙ্গ। মানুষকে সবকিছু জানাতে হবে। দুদক কোনো কিছুই গোপন করে না, করবেও না।

তিনি বলেন, সরকারের সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচির দুর্নীতি, স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতি, সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে খাদ্য সামগ্রী আত্মসাৎ ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনসহ বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে কমিশন একটি বিশেষ প্রতিবেদন করেছে।

‘ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- কমিশনের অনুমোদনক্রমে বিগত তিন মাসে ত্রাণ দুর্নীতি, সরকারি খাদ্য গুদামের খাদ্য-সামগ্রী আত্মসাৎ, অবৈধভাবে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২৩টি মামলা দায়ের করেছে কমিশন। প্রতিটি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাও নিয়োগ করা হয়েছে।’

ইকবাল মাহমুদ আরও বলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে কোভিড-১৯ এর চিকিৎসায় নিম্ন মানের মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি ক্রয়সহ বিভিন্ন হাসপাতালে সরবরাহের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ দ্রুততার সঙ্গে অনুসন্ধান করা হচ্ছে বলেও ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

অনুসন্ধান ও তদন্ত কর্মকর্তাদের শক্তহাতে কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রতিকূল পরিবেশেই দুদককে আইনি দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। করোনাভাইরাস দুদকের দুজন কর্মকর্তার জীবন কেড়ে নিয়েছে। এখনও ১৫ জনের বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী চিকিৎসা নিচ্ছেন। অনেকের পরিবারের সদস্যরাও করোনায় আক্রান্ত।

করোনাকালে ত্রাণ আত্মসাতকারীদের প্রসঙ্গে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, তাদেরকে আমরা আগেই সতর্ক করেছিলাম। তারপরও কতিপয় লোভী মানুষকে প্রতিরোধ করা যায়নি। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। অনেকে গ্রেফতার হয়েছে।

ত্রাণ আত্মসাতের মামলাগুলো নিখুঁতভাবে তদন্ত সম্পন্ন করা হবে বলেও তিনি জানান।

লাইটনিউজ/এসআই

আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2020 Lightnewsbd

Developer Design Host BD