চাঁপাইনবাবগঞ্জে বেড়েছে হোম কোয়ারেন্টাইনে আশ্রয় নেয়াদের সংখ্যা। ১৫ মার্চ রবিবার দুপুর পর্যন্ত ১৯০ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এছাড়া সোনামসজিদ স্থলবন্দর সহ অন্যান্য বন্দর দিয়ে আসা সকল পাসর্পোটধারী বিদেশ ফেরতদের স্বেচ্ছায় হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। সেসাথে বিদেশ ফেরতদের সবার পূর্ণাঙ্গ নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর সংরক্ষণ করা হচ্ছে।
এদিকে রবিবার (১৫ মার্চ) বেলা ১টা থেকে ভারতীয় মোহদীপুর ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ পাসর্পোটধারী সকল ধরনের যাত্রী পারাপার বন্ধ করে দিয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা: জাহিদ নজরুল চৌধুরি জানান, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সোনামসজিদ বন্দর ব্যবহারকারী সকলকে ভালভাবে চেকআপ করছে ৩ সদস্যের একটি মেডিকেল টিম। ভারতে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় গত ৩ দিন থেকে ভারত থেকে আসা সকল পাসর্পোটধারী যাত্রীর পুরো ঠিকানা সংরক্ষন করা হচ্ছে এবং সবাইকে অন্তত ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
সোনামসজিদ বন্দরে আগত ভারত থেকে পণ্যবাহী ট্রাক চালক ও এর সহকারীদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে।
এছাড়া রহনপুর শুল্ক স্টেশনে ভারত থেকে আসা ট্রেনচালক,সহকারী ও ব্যবস্থাপকদের অস্থায়ী মেডিক্যাল টিম স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছে।
সিভিল সার্জন আরও জানান,সদর হাসপাতালে ৪টি ও ৫ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে ২ টি করে ১০টি আইসোলেশন ইউনিট স্থাপন করা হয়েছে। রবিবার দুপুর ২টা পর্যন্ত ৩২ জন ভারতীয় নাগরিকসহ ১৫৮ জন বাংলাদেশি নাগরিককে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। পরিস্থিতির অবনতি হলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ টির্চাস ট্রেনিং ইন্সিটিউটের একটি ভবন প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: সারওয়ার জাহান এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, সম্প্রতি ভারত সফর করায় ভারত ফেরত ৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে একজন ভারতীয় ও তিনজন বাংলাদেশী নাগরিক। তিনি আরো জানান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫ টি আইসোলেশন বেড তৈরি রয়েছে। এছাড়া করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার্থে গত ১১ মার্চ ৮ সদস্য বিশিষ্ট একটি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।
লাইটনিউজ/এসআই