উপসর্গহীন কোভিড-১৯ রোগীদের দ্বারা করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়ানোর খুব একটা প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে সম্প্রতি জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এরপরই তথ্যটি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হলে নিজেদের মন্তব্য প্রত্যাহার করে নেয় সংস্থাটি। নতুন করে তারা জানিয়েছে, উপসর্গহীন রোগীর মাধ্যমেও করোনা ছড়াতে পারে।
এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এমার্জিং ডিজিজেস অ্যান্ড জুনোসিস ইউনিটের প্রধান ড. মারিয়া ভ্যান কারখোভ বলেন, করোনার উপসর্গহীন সংক্রমণের বিভিন্ন ধরনের গাণিতিক মডেল রয়েছে। সেই হিসেবে বিভিন্ন দেশ থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ১৬ শতাংশ উপসর্গহীন কোভিড-১৯ রোগীর মাধ্যমে ভাইরাসটির সংক্রমণ ছড়াতে পারে। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই মাত্রা বেড়ে ৪০ শতাংশও হতে পারে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র এক বিবৃতিতে জানায়, জ্বর, কাশি বা শ্বাসকষ্টের মতো করোনাভাইরাসের উপসর্গ নেই, কিন্তু করোনা ছড়াতে পারে। এমন দুই ধরনের রোগী আছে। তারা হলেন- ১. উপসর্গবিহীন এবং কখনোই তাদের মধ্যে করোনার উপসর্গ দেখা যায় না। ২. শুরুতে উপসর্গবিহীন থাকে, কিন্তু পরে তাদের মধ্যে উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
এর আগে গত ৮ জুন জেনেভায় এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ডা. মারিয়া ভ্যান কারখোভ বলেন, উপসর্গহীনদের নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করার দরকার নেই। কারণ তাদের দ্বারা করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়ানোর খুব একটা প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাই এখন উপসর্গ দেখা দেয়া রোগীদের শনাক্ত করে আলাদা রাখাটাই গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, আমাদের কাছে যে তথ্য এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, উপসর্গহীন ব্যক্তিরা দ্বিতীয় কাউকে সংক্রমণ করছেন না। এমন ঘটনা অত্যন্ত বিরল। তাই উপসর্গহীনদের নিয়ে দুশ্চিন্তা না করে বরং বিভিন্ন দেশের সরকারের উচিত, উপসর্গযুক্ত রোগী ও তাদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের শনাক্ত করে আলাদা করা।
লাইট নিউজ/আই