সন্দ্বীপ প্রতিনিধি : গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সন্দ্বীপে খাদ্য বান্ধব কর্মসুচীর চাল বিক্রিতে চরম অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে স্ব-চিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হচ্ছিলো। মূলত: এনএসআই’র তথ্যের ভিত্তিতে টনক নড়ে খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসের। তার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসুচীর আওতায় সন্দ্বীপে নিয়োগকৃত ডিলার মগধরা ৯ নং ওয়ার্ডের রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে কার্ডধারীদের মাঝে চাল ওজনে কম দেওয়ার বিষয়টি প্রমানীত হওয়ায় উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রবীন্দ্র লাল চাকমা নিজে বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে সন্দ্বীপ থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ এর ২৫ এর ১ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ৬ /১৫।
মামলার প্রক্ষিতে সন্দ্বীপ থানার সাব ইন্সপেক্টর মোঃ কাজল মিয়া তার সঙ্গীয় ফোর্স সহ আসামী রফিকুল ইসলামকে আটক করে থানা হাজতে প্রেরন করেন।
এ ব্যাপারে খাদ্য নিয়ন্ত্রক রবীন্দ্রলাল চাকমা বলেন আমরা স্থানীয় সংবাদ কর্মীদের সংবাদ প্রচার ও স্থানীয় লোকজনদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তার গোডাউন পরিদর্শনে গেলে চাউল বিতরনের পর ২২০ কেজি অতিরিক্ত পাই। এবং বাকী ৪৬৯ জন উপকারভোগীকে সে ২ কেজি করে চাল কম দিয়েছে বলে নিজে স্বীকার করে। আমরা তাৎক্ষনিক তার গোডাউন সিলগালা করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিদর্শী সম্বৌধী চাকমা সহ তার লাইসেন্স বাতিল করে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার জন্য মামলা দায়ের করেছি।
এছাড়াও মগধরা গুপ্তছড়া বাজারের ডিলার মুনসুর ও সারিকাইতের আসিফ মেম্বারের স্ত্রী রাজিয়া সুলতানার বিষয়ে অভিযোগের প্রমান পেয়েছি। চাউল বিতরন শেষ হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবো।
রফিকুল ইসলাম বিষয়ে সন্দ্বীপ থানার ওসি শেখ শরিফুল ইসলাম বলেন খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা আসামী ধরেছি এবং তার অতিরিক্ত খাদ্য জব্দ করেছি। এবং তাকে কোর্ট হাজতে প্রেরন করে তার রিমান্ডের আবেদন করেছি। রিমান্ড মন্জুর হলে তার স্বীকারোক্তি নিয়ে কম দেওয়া চাল উদ্ধার করে এবং জব্দকৃত চাল গুলো নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে যারা কম পেয়েছে তাদের মাঝে বিতরন করে দেবো।
লাইট নিউজ ডেস্ক