নীলফামারীর ডোমারের গোমনাতি ইউনিয়নের পাঙ্গা নদীতে গত শুক্রবার দুপুরে নিখোঁজ হয়েছিল খালাতো ভাই-বোন মনোয়ার হোসেনের (৬) ও মনি আক্তার নামের দুই শিশু। এ ঘটনার ৪৫ ঘণ্টা পর রবিববার সকাল ৯টার দিকে মনোয়ার হোসেনের লাশ উদ্ধার হয়।
ওই নদীর প্রায় দুই কিলোমিটার ভাটি বামুনিয়া ইউনিয়নের পূর্ব বারবিশা গ্রামে ফান্দুল তেলির ঘাট নামক স্থানে তার লাশ উদ্ধার করে এলাকাবাসী। পরে বেলা ১০টার দিকে পুলিশ এসে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। উদ্ধার হওয়া মনোয়ার গোমনাতি ইউনিয়নের উত্তর গোমনাতি গ্রামের মো. সুরুজ্জামানের ছেলে।
এলাকাবাসী জানায়, নদীর ওই স্থানে সকালে শিশুর লাশ দেখতে পায় দুই কৃষক। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন এসে লাশ শনাক্ত করে।
পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে গোমনাতি ইউনিয়নের আমবাড়ি হাটের অদুরে পাঙ্গা নদীর একটি ঝুঁকিপূর্ণ সেতু পার হওয়ার সময় রিকশাভ্যান উল্টে গেলে শিশু মানোয়ার হোসেন ও মনি আক্তার নদীতে পড়ে নিখোঁজ হয়। মনোয়ার উত্তর গোমনাতি গ্রামের মো. সুরুজ্জামানের ছেলে এবং মনি আক্তার জোড়াবাড়ি ইউনিয়নের বিএসসি পাড়া গ্রামের গোলাম রব্বানীর মেয়ে। তারা দুজনে খালাতো ভাই-বোন। সেদিন বার্ধক্যজনিত রোগে মনোয়ারের দাদা করিম উদ্দীনের মৃত্যু হলে উত্তর গোমনাতি গ্রামের বাড়িতে তার দাফন শেষে ওই খালাতো ভাই-বোন তাদের নানা ময়নুল হকের সঙ্গে জোড়াবাড়ি ইউনিয়নের মিরজাগঞ্জ গ্রামে যাচ্ছিল। এ সময় পথে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল চেষ্টা চালিয়ে তাদেরকে উদ্ধারে ব্যর্থ হয়।
ডোমার থানার ওসি মোস্তফিজার রহমান বলেন, নিখোঁজ দুই শিশুর মধ্যে রবিবার সকালে মনোয়ার হোসেনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। বেলা ১০টার দিকে তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। অপর শিশু এখানো নিখোঁজ রয়েছে।
লাইট নিউজ