স্বাস্থ্যকর্মীদের পিপিই-এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল এন-৯৫ মাস্ক। এটা আন্তর্জাতিকভাবেও স্বীকৃত। দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে জেএমআই গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান জেএমআই হসপিটাল রিকুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেড চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য ২০ হাজার ৬০০ পিস এন-৯৫ মাস্ক কেন্দ্রীয় ঔষধাগারে (সিএমএসডি) সরবরাহ করেছিল। কিন্তু এই মাস্কগুলো এন-৯৫ নয়, এই নাম দিয়ে গছিয়ে দেওয়া হয়েছে সাধারণ মাস্ক!
এ নিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ আসার পর তদন্তে নামে কেন্দ্রীয় ঔষধাগার। দেখা যায় মাস্কগুলো নকল। এই প্রেক্ষিতে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান জেএমআই হসপিটাল রিকুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দিতে বলা হলে তারা লিখিতভাবে ক্ষমা চেয়েছে। ওদিকে ইতোমধ্যেই দেশে অন্তত ১৭০ জন চিকিৎসক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন।
অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়ে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের ভাণ্ডার ও রক্ষণের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বরাবর একটি চিঠি পাঠান। সেখানে বলা হয়, ‘দেশের সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে আমরা অন্যান্য বেশ কিছু পণ্যের সঙ্গে এন-৯৫ মাস্কও সরবরাহ করেছিলাম। কিন্তু মাস্কগুলো এন-৯৫ এর স্পেসিফিকেশনের সঙ্গে ‘কমপ্লাই’ করে না। এটা আমাদের অনিচ্ছাকৃত ভুল। মাস্কগুলো ফেরত দিয়ে এই ভুলের দায় থেকে মুক্তি দানে বাধিত করবেন।’
দেশে করোনার প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকে প্রয়োজনীয় সুরক্ষাসামগ্রী ছাড়াই চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। এরপর আস্তে আস্তে তাদের পিপিই পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়। এবার জানা গেল, তাদের অনেকের পিপিই-এর সবেচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ মাস্কটি সঠিক ছিল না।