কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপে সমুদ্র সৈকতের বালিয়াড়িতে ভেসে আসা বিশাল আকৃতির মৃত মাছটিকে ‘তিমি’ বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ মৎস গবেষণা ইনস্টিটিউটের এক সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা। আজ সোমবার সকালে মাছটির মরদেহ তীরে ভেসে আসে।
স্থানীয় জেলে ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গত শনিবার বিকেলে দ্বীপের পশ্চিমপাড়া সৈকতে একটি বিশাল আকৃতির মাছকে ঢেউয়ের পানির সঙ্গে তীরে আসতে-যেতে দেখা যায়। তখন সৈকত তীরে বসানো ব্লকের কংক্রিটে ঢেউয়ের পানিতে মাছটি আঘাত পেয়ে রক্তাক্ত হচ্ছিল।
এ অবস্থায় ব্লকে আটকা পড়া মাছটিকে স্থানীয় জেলেরা গভীর জলে ফিরে যেতে সহায়তা করে বলে জানা গেছে। আজ সকালে তীরে ভেসে আসা মৃত মাছটিই শনিবার জোয়ারের পানিতে ব্লকে এসেছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ মৎস গবেষণা ইনস্টিটিউট কক্সবাজারের সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এহসানুল করিম বলেন, এ মাছটি ইন্দো-প্যাসিফিক হাম্পব্যাক ডলফিন নামে পরিচিত। এগুলো সাধারণত দলবদ্ধ হয়ে বিচরণ করে থাকে। ধারণা করা হচ্ছে, খাবারের সন্ধানে দলছুট হয়ে ডলফিনটি টেকনাফের কাছাকাছি আসে। পরে আঘাত পেয়ে মারা যায়।
শাহপরীর দ্বীপ সমুদ্র সৈকতের বালিয়াড়িতে ভেসে আসা বিশাল আকৃতির মৃত মাছ।
মৃত ভেসে আসা মাছটির ওজন ১৬০ কেজি হতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, মাছগুলো ভারত এবং পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ক্রান্তীয় জলে থাকে। তবে এই ডলফিনগুলো অগভীর এবং উপকূলীয় পানি পছন্দ করে। তাই উপকূলের আশপাশের অঞ্চলে এর বিচরণ অস্বাভাবিক নয়।
তার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে প্রতিষ্ঠানটির অপর সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আশরাফুল ইসলাম বলেন, প্রাণীটি বালিন তিমি প্রজাতির সদস্য হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এটির বৈজ্ঞানিক নাম- Fin Whale Balaenoptera Physalus।
লকডাউনের মাঝে ঘটনাস্থলে না গিয়ে শুধু ছবি দেখে প্রজাতি শনাক্তে তার সহকর্মী ভুল করে থাকতে পারেন বলে মনে করছেন এই মৎস বিশেষজ্ঞ।