বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচনে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া হস্তক্ষেপ করছেন, এমন অভিযোগে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নেন তামিম ইকবাল। এ ছাড়া নির্বাচনকে ঘিরে আরো অনেকে অসংগতি ও অভিযোগ তুলে নিজেদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন।
বিসিবির নির্বাচন শেষ হওয়ার পর এবার গুরুতর অভিযোগ করলেন আমিনুল হক। কাউন্সিলরদের ডেকে পছন্দের প্রার্থীকে নাকি ভোট দিতে হুমকি দিয়েছেন ক্রীড়া উপদেষ্টা।
আজ (মঙ্গলবার) পল্টনের হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামে জিয়া আন্ত ভলিবল টুনামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমিনুল বলেছেন, ‘বিসিবি নির্বাচন নিয়ে প্রধান উদ্বেগ হলো সরকারি এবং ক্রীড়া উপদেষ্টার সরাসরি হস্তক্ষেপ। তার হস্তক্ষেপের প্রতিটি ঘটনার প্রমাণ রয়েছে। আমি শুনে অবাক হয়েছি ক্রীড়া উপদেষ্টা ব্যক্তিগতভাবে বিভিন্ন কাউন্সিলরকে হুমকি দিয়েছেন, নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছেন।
অনেক কাউন্সিলর আমাকে ফোন করে বলেছেন যে তাদের ডেকে নিয়ে এভাবে হুমকি দেওয়া হয়েছে।’
গতকাল হয়ে যাওয়া বিসিবির নির্বাচনে আর্থিক লেনদেন হয়েছে বলেও জানিয়েছেন আমিনুল। অবৈধ আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে সাবেক অধিনায়ক বলেছেন, ‘আমার কাছে তথ্য আছে যে আর্থিক লেনদেনও হয়েছে। এটি অত্যন্ত পীড়াদায়ক যে বোর্ড পরিচালকরা আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে নির্বাচিত হতে পারেন।
এটি তাদের হাতে বাংলাদেশের ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে একটি বিশাল সন্দেহ তৈরি করে। আমি মনে করি পুরো নির্বাচন ব্যবস্থাপনা এবং এই প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমী বা ক্রীড়া সংগঠকেরা স্বাভাবিকভাবে মেনে নেবেন না।’
পরিচালকদের নির্বাচন শেষে গতকাল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আবারও বিসিবির সভাপতি হয়েছেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। অন্যদিকে সহসভাপতি হয়েছেন শাখাওয়াত হোসেন ও ফারুক আহমেদ।