স্টাফ রিপোর্টার : ওয়ারীর লকডাউনের আজ দ্বিতীয় দিন। দিনের শুরু থেকেই লকডাউন তোয়াক্কা না করে অনেকেই বাইরে বের হতে চাচ্ছেন। চাকরিজীবীদের ২১ দিনের সাধারণ ছুটি থাকার কথা থাকলেও অনেকেই অফিসের অজুহাতে বের হচ্ছেন। এর মধ্যে রয়েছেন ব্যাংকার, সরকারি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পেশাজীবীরা। ওয়ারীর দুটি প্রবেশ পথেই সকাল থেকে কিছুটা বিশৃঙ্খলা লক্ষ্য করা গেছে।
তবে এ বিষয়ে তৎপর রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এবং স্বেচ্ছাসেবকরা। যারা বিশেষ কাজে বের হচ্ছেন তাদেরকে খাতায় এন্ট্রি করিয়ে বের হতে দিচ্ছেন তারা। রোববার (৫ জুলাই) লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে ওয়ারী এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
সকাল থেকেই প্রবেশপথগুলোতে একসাথে অনেক জনকে বের হতে এবং জটলা করতে দেখা গেছে। স্বেচ্ছাসেবকরা লাইনে দাঁড়িয়ে খাতায় এন্ট্রি করে একে একে বের হতে বললেও অনেকেই মানতে চাচ্ছেন না সে নিয়মও।
এদিকে সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে হুমকি দিয়েও অনেকে ওয়ারী থেকে বের হতে চাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন স্বেচ্ছাসেবকরা। তাদের মধ্যে বেশির ভাগ সরকারি কর্মকর্তা। তবে এলাকার সচেতন মহলের অনেকেই লকডাউন মানছেন এবং বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতাও করে যাচ্ছেন।
স্বেচ্ছাসেবকরা বলছেন, এলাকার বাসিন্দাদের স্বার্থেই তাদের এই তৎপরতা। এলাকার বাসিন্দাদের মনে রাখার তাদের কোন ব্যক্তিগত স্বার্থ নেই। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থেকে এলাকাটিকে সুরক্ষিত রাখতেই এমন উদ্যোগ। এদিকে স্বেচ্ছাসেবকরা এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে সচেতনতা বাড়াতে কিছুক্ষণ পরপর মাইকিং করতেও দেখা গেছে।
তাসফিয়া নামের ওয়ারী এলাকার বাসিন্দা আইএফআইসি ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, আজকেই হঠাৎ ব্যাংকের জরুরি একটা কাজ পরে গেছে। যেটা অন্য একজনকে বুঝিয়ে দিয়ে আসতে হবে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৪১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সারোয়ার হাসান আলো বলেন, সরকারি কর্মকর্তারা যারা আছেন খুব জরুরি কাজ না থাকলে বের হতে পারবেন না। কেউই আসলে আইনের ঊর্ধ্বে নয় সরকারি কর্মকর্তা হোক বা বেসরকারি। সবাইকেই আইন মানতে হবে। সবাইকেই লকডাউন মানতে হবে। হয়তো দুই একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তবে প্রথমদিনের তুলনায় আজকের অবস্থা অনেকটাই ভালো।
৪১ নং ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবকদের সমন্ময়কারী মামুন বলেন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমরা অনেকটাই অসহায়।অনেকেই আমাদেরকে হুমকি দিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করছে। আমরা আটকাতে চাইলে আমাদের সাথে তর্ক করছেন।
ওয়ারী থানার সাব ইন্সপেক্টর সুকান্ত বলেন, আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি যাতে লকডাউন এলাকার মানুষ এলাকা থেকে বের হতে না পারে। তবে বিশেষ প্রয়োজনে যারা বের হতে চাচ্ছে তাদেরকে আমরা বের হতে দিচ্ছি। কেউ কেউ আছেন ২১ দিনের সাধারণ ছুটিতে থাকার কথা থাকলেও তারা বলছেন অফিস থেকে ছুটি পাইনি।
উল্লেখ্য, করনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে আগেই রাজধানীর কিছু কিছু এলাকাকে রেড জোন ঘোষণা করা হয়েছে। ধাপে ধাপে সেসব এলাকাকে এখন লকডাউনের আওতায় আনা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে ওয়ারী এলাকায় চলছে লকডাউন।
লাইট নিউজ