ঈদকে সামনে রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে রোববার থেকে ভিন্ন আঙ্গিকে খুলছে দেশের অন্যতম প্রধান ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড আড়ংয়ের আউটলেট। এসব আউটলেটে পণ্য কেনার সুযোগ পেতে আগে অনলাইনে নিবন্ধন করতে হবে।
তাদের ২১টি আউটলেটের মধ্যে ১৪টি খুলছে। অনলাইনে নিবন্ধন করা ক্রেতারা এক ঘণ্টার জন্য আউটলেটে গিয়ে কেনার সুযোগ পাবেন বলে জানান ব্র্যাক এন্টারপ্রাইজেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তামারা হাসান আবেদ।
তিনি বলেন, করোনা সংক্রামণের কঠিন এই পরিস্থিতিতে যে কেউ যখন-তখন ইচ্ছে করলেই এই আউটলেটগুলোতে কেনাকাটার জন্য ঢুকতে পারবেন না। চার স্তরে নিরপত্তা চেক হওয়ার পরেই আউটলেটে ঢুকতে পারবেন।
শনিবার সকালে আড়ংয়ের অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন প্রতিষ্ঠানের এমডি। এ সময় আরও অংশ নেন আড়ংয়ের চিফ অপারেটিং অফিসার মো. আশরাফুল আলম। সঞ্চালনা করেন ব্র্যাকের কমিউনিকেশনস অ্যান্ড আউটরিচ প্রোগ্রামের ডিরেক্টর মৌটুসী কবীর।
অনুষ্ঠানে অনলাইন নিবন্ধনের কৌশল তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়, আড়ং আউটলেটগুলো থেকে কেনাকাটা করতে হলে আড়ংয়ের ওয়েবসাইট অথবা ফেইসবুক পেজে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। রেজিস্টেশন শেষ হলে একটি প্রবেশপত্র পাওয়া যাবে। সেটি দেখিয়ে আউটলেটে ঢুকতে হবে।
তামারা আবেদ বলেন, ঢাকার বাসাবো এবং ঢাকার বাইরে সিলেট, কুমিল্লা ও নারায়ণগঞ্জের আউটলেট বন্ধ থাকবে। এছাড়া বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্স ও যমুনা ফিউচার পার্ক বন্ধ থাকায় ওই দুই মার্কেটের আউটলেট বন্ধ থাকবে। এর বাইরেও যেসব মর্কেটের মধ্যে আউটলেট রয়েছে ওই মার্কেট বন্ধ থাকলে আউটলেট বন্ধ রাখা হবে।
তিনি বলেন, আড়ংয়ের সঙ্গে জড়িত ৬৫ হাজার কারুশিল্পী। তাদের তৈরি পণ্য বিক্রি করতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। উদ্যোক্তাদের তৈরি বৈশাখের পণ্য ও ঈদের অনেক পণ্য কিনে নিয়েছেন। এরপরেও যেসব পণ্য তৈরির অর্ডার করেছেন তাও কিনে নেবেন বলে নিশ্চিত করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, আউটলেটে প্রবেশের সময় প্রত্যেকের শরীরের তাপমাত্রা মাপা হবে। কারও শরীরের তাপমাত্রা বেশি থাকলে তাকে ওই আউটলেটে কোনোভাবেই ঢুকতে দেওয়া হবে না। প্রত্যেক গ্রাহকের মাস্ক ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক। প্রত্যেক গ্রাহকের জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করা হবে। গ্রাহকরা যখন ভেতরে প্রবেশ করবেন তখন পরস্পর থেকে কমপক্ষে তিন ফিট দূরত্বে থাকা বাধ্যতামূলক করে গোল চিহ্ন করে দেওয়া হবে। আড়ংয়ের প্রত্যেক কর্মচারীকেও সর্বোচ্চ সর্তকতার মাধ্যমে নিরাপত্তা দেওয়া হবে।
লাইট নিউজ