মানব পাচার, অর্থ পাচার, ভিসা জালিয়াতিসহ আরো নানা অপরাধে কুয়েতে আটক হয়েছেন লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শহীদ ইসলাম পাপুল। প্রথম দফা রিমান্ডের পর তিনি এখন কুয়েতের কারাগারে আছেন। দেশটির সরকার তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার অঙ্গীকার করেছে। কুয়েতের বিভিন্ন ব্যাংকে থাকা তার ৫টি অ্যাকাউন্ট জব্দ করে পাওয়া গেছে ১৪০ কোটি টাকা। এবার দেশে তার ব্যাংক হিসাব তলব করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গতকাল মঙ্গলবার দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের কাছে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)। ওই চিঠিতে পাপুলের পাশাপাশি তার স্ত্রীর ব্যাংক লেনদেনের তথ্যও জানতে চাওয়া হয়েছে। তার স্ত্রী সেলিনা ইসলামও সংরক্ষিত নারী আসনের একজন সংসদ সদস্য। একই ধরনের চিঠি পাঠানো হয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পক্ষ থেকেও।
এর আগের দিন সোমবার শুধু পাপুল এবং তার স্ত্রী নয়, বরং তাদের কন্যা ও এক আত্মীয়ের লেনদেনের তথ্য জানাতে ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব তথ্য জানাতে নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে চিঠিতে।
চলতি জুন মাসের ৭ তারিখে এমপি শহীদ ইসলাম পাপুলকে কুয়েতে গ্রেপ্তার করা হয়। দেশটির অপরাধ তদন্ত বিভাগের হাতে প্রয়োজনীয় প্রমাণ থাকার পরও প্রথমে পাপুল দোষ স্বীকার করেননি। তারপর তার সামনে ভুক্তভোগীদেরকে হাজির করা হলে তিনি মানব পাচারের কথা স্বীকার করে নেন। এছাড়া তদন্তে বেরিয়ে আসে তার ভিসা জালিয়াতির প্রমাণ।
রাজনীতির মাঠে না থাকলেও গত নির্বাচনে হঠাৎ করেই লক্ষ্মীপুর-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান পাপুল। সঙ্গত কারণেই তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। তারপর তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের ঘোষণা দেন। কিছুদিন পর আওয়ামী লীগের প্রার্থী নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে দাঁড়িয়ে তাকে সমর্থন জানায়। জানা যায়, বিপুল অংকের অর্থ ঘুষ দিয়ে তিনি প্রতিপক্ষকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন।