শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫, ১২:১৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ডিসেম্বরে নির্বাচনের কথা বললেও জুনে চলে যায় কীভাবে, প্রশ্ন রিজভীর ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র ঘোষণা সিঙ্গাপুর-যুক্তরাজ্য থেকে আসবে ২ কার্গো এলএনজি, ব্যয় ১৩৬৬ কোটি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে এশীয় নেতাদের এগিয়ে আসার আহ্বান ড. ইউনূসের ২০২৬ বিশ্বকাপে মেসির খেলা নিয়ে যা জানালেন আর্জেন্টাইন কোচ মহাসড়কে অটোরিকশা উঠলেই ব্যবস্থা, ছিনতাইয়ে জিরো টলারেন্স ঈদের ছুটিতে ঢাকাবাসী নিরাপদ থাকবেন: স্বরাষ্ট্র সচিব গাজায় হঠাৎ হামাসের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন বিক্ষোভ শফিক রেহমানকে যায়যায়দিনের ডিক্লারেশন দেওয়া কেন অবৈধ নয় : হাইকোর্ট বাংলাদেশে কারখানা স্থানান্তরে সহায়তা করবে চীনা এক্সিম ব্যাংক

করোনা মোকাবেলায় বিশ্ব সম্প্রদায়কে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী

লাইটনিউজ রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২০

করোনা ভাইরাসে সৃষ্ট সংকটে সমন্বিত দায়িত্বশীলতা ও অংশীদারিত্বমূলক মনোভাবের ওপর গুরুত্বারোপ করে বিশ্ব সম্প্রদায়কে উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সবাইকে একসঙ্গে সংকটের মোকাবিলা করতে হবে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতিতে কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার বিষয়ক এক ভার্চুয়াল সম্মেলনে এ আহ্বান তিনি।

‘এনহ্যান্সিং রিজিওন্যাল কো-অপারেশন ইন সাউথ এশিয়া টু কমব্যাট কোভিড-১৯ রিলেটেড ইমপ্যাক্ট অন ইটস ইকোনোমিকস’ শীর্ষক এ ভার্চুয়াল সম্মেলনের আয়োজন করে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ)।

বিশ্ব সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিশ্ব সম্ভবত গত একশো বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় সংকটের মুখোমুখি। সুতরাং সবাই একসঙ্গে সঙ্কটের মোকাবিলা করা দরকার। প্রতিটি সমাজ থেকে সমন্বিত দায়িত্বশীলতা এবং অংশীদারিত্বমূলক মনোভাব প্রয়োজন।

বিচ্ছিন্নতার নীতি বাস্তবমুখী নয় উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্ব ইতোমধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে লড়াই করছে। এখন, করোনা ভাইরাস আমাদের অস্তিত্বকে চ্যালেঞ্জ করছে। বিশ্বায়নের বর্তমান পর্যায়ে একটি দেশকে পুরো বিশ্ব থেকে আলাদা রাখা সম্ভব নয় এবং এখানে বিচ্ছিন্নতার নীতি আর কাজ করবে না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা জানি না এই মহামারি কতদিন থাকবে। এটি ইতোমধ্যে অর্থনীতিতে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। অর্থনীতি, ব্যবসা ও সমাজের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হবে; ভয় ও ট্রমা কাটাতে জনগণকে সহযোগিতা করতে হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব একটি সংকটময় পরিস্থিতি অতিক্রম করছে। এই সংকট মোকাবিলায় আমাদের যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

বিশ্বের বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতি মোকাবিলায় পাঁচটি বিষয়ে সবাইকে মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

প্রথমত: সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মধ্যে দারিদ্র্য এবং বৈষম্য দ্রুত বাড়বে। গেলো এক দশকে আমরা আমাদের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর অর্ধেক দারিদ্র্যসীমা থেকে বের করে এনেছিলাম। তাদের অনেকে এখন আবার আগের অবস্থানে ফিরে যেতে পারে। সুতরাং, বিশ্বকে মানবকল্যাণ, বৈষম্য দূরীকরণ, দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সহায়তা এবং কোভিড-১৯ এর আগের অর্থনৈতিক অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে নতুন করে ভাবতে হবে।

দ্বিতীয়ত: আমাদের প্রয়োজন জি-৭, জি-২০ এবং ওইসিডির মতো সংগঠনগুলো হতে দৃঢ় ও পরিকল্পিত বৈশ্বিক নেতৃত্ব। জাতিসংঘ নেতৃত্বাধীন বহুপাক্ষিক ব্যবস্থাকেও এগিয়ে আসা উচিত। আমি অধ্যাপক সোয়াবকে (বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরোমের প্রতিষ্ঠাতা) প্রশংসা করছি। কারণ তিনি সংক্রামক রোগগুলোকে ২০২০ এর বৈশ্বিক ঝুঁকি সম্পর্কিত প্রতিবেদনে অন্যতম মুখ্য ঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। সুতরাং, ফোরাম ও জাতিসংঘের উচিত সরকার এবং বিশ্ব ব্যবসাকে এ বিষয়ে একত্রিত করা এবং নেতৃত্ব দেওয়া।

তৃতীয়ত: আমরা ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাপী ব্যবসা, কাজ ও উৎপাদনে পরিবর্তন প্রত্যক্ষ করেছি। কোভিড পরবর্তী সময়ে, নতুন নীতি, স্ট্যান্ডার্ড ও পদ্ধতি দেখবো। ইতোমধ্যে আমরা দেখছি সরবরাহ চেইনে থাকা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডকে যথাযথ দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিচ্ছে না। সুতরাং, আমাদের এমন কৌশল ও বাস্তবমুখী সহায়তা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে যেন বাংলাদেশের মতো দেশগুলো টিকে থাকতে পারে।

চতুর্থত: অভিবাসী কর্মীরা বেকারত্বসহ অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতি পার করছেন। এটি দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতিকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে। সুতরাং, বোঝা ও দায়িত্ব শেয়ার করার মতো আমাদের এমন একটি অর্থপূর্ণ বৈশ্বিক কৌশল ও পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।

পঞ্চম: এই মহামারির সময়ে আমরা কার্যকরভাবে বেশকিছু ডিজিটাল প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতির ব্যবহার করেছি। যেমন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সংক্রমণ চিহ্নিত করা। ভবিষ্যতের প্রস্তুতির জন্য আমরা বিভিন্ন সেক্টরে এই রকম উদ্ভাবনীমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারি।

লাইটনিউজ/এসআই

আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2020 Lightnewsbd

Developer Design Host BD