পলিসিস্টিক কিডনি রোগে আক্রান্ত সংগীতশিল্পী, উপস্থাপক ও সংগীতজ্ঞ আলাউদ্দীন আলী’র মেয়ে আলিফ আলাউদ্দীন। দীর্ঘদিন ধরেই এ রোগটির সঙ্গে লড়াই করে আসছেন তিনি। কিন্তু বিষয়টি এতদিন গোপন রেখেছেন, তাও প্রায় বিগত ১০ বছর।
এ প্রসঙ্গে মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও উপস্থাপন আনজাম মাসুদ বলেন, ‘আলিফ মানসিকভাবে খুব শক্তিশালী একজন মানুষ। মনের জোরেই রোগটির সঙ্গে লড়াই করছেন তিনি। যে কারণে তার দুটো কিডনির ৮০ শতাংশ ড্যামেজ হওয়ার পরও এতদিন বিষয়টি আমরা জানতাম পারলাম না। আমাদের প্রেজেন্টার্স প্ল্যাটফর্মে কেউই না। আর তাকে দেখেও বুঝতে পারিনি, এত বড় একটা রোগ নিয়ে তিনি হাসি-খুশি ও স্বাচ্ছন্দ্যে আমাদের সঙ্গে মিশেছেন, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন।’
আলিফ আপনার সঙ্গে এ বিষয়টি তিনি কবে শেয়ার করেছেন- এর উত্তরে আনজাম মাসুদ বলেন, লকডাউনের আগেই বিষয়টি নিয়ে আমার আলাপ করেন আলিফ এবং কাউকে না জানাতে অনুরোধ করেন। সবশেষ মঙ্গলবার (১৬ জুন) রাতে তার মামা শওকত আলী ইমনসহ আমরা তিনজন আলোচনায় বসে সিদ্ধান্ত নিই- বিষয়টি সবাইকে জানাবার, যাতে করে সবার দোয়া-প্রার্থনায় আলিফ সুস্থ হয়ে উঠেন।’
তার চিকিৎসার জন্য সরকার বা কারো কোনো সাহায্য-সহযোগিতা চাচ্ছেন কী- এমন প্রশ্নের উত্তরে আনজাম মাসুদ বলেন, ‘না। আপাতত কারো কোনো সাহায্য-সহযোগিতা চাওয়া হচ্ছে না। সবার দোয়া-প্রার্থনা’ই এই মুহুর্তে মুখ্য, আর সেটাই এখন তার পরিবার এবং আমাদের পক্ষ থেকে চাচ্ছি। আর শিগগিরই তার একটি কিডনি প্রতিস্থাপনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হচ্ছে।’
আলিফ আলাউদ্দীন পলিসিস্টিক কিডনি রোগে আক্রান্ত ছিলেন আলিফ আলাউদ্দীনের মা বিশিষ্ট কণ্ঠশিল্পী সালমা সুলতানাও। এই রোগের সঙ্গে লড়াই করেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। জেনেটিক্যালি মায়ের এই রোগটি পেয়েছেন আলিফ। তবে যথাযথ চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন তিনি। আর এখন চলছে তার একটি কিডনি প্রতিস্থাপনের প্রক্রিয়া। সেটি ভালোভাবে সম্পন্ন হলেই স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে কোনো সমস্যা হবে না বলে ডাক্তারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।