ডেস্ক রিপোর্ট : ইচ্ছাকৃতভাবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ে কাছে করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা সম্পর্কিত তথ্য গোপন করেছিল চীন। তবে বেইজিং ঠিকই ভাইরাসটির ভয়াবহতা উপলব্ধি করতে পেরেছিল। এ জন্য গত জানুয়ারি থেকে চিকিৎসা সামগ্রীর রপ্তানি কমিয়ে তা মজুত করতে শুরু করে চীন।
যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিবেদনে চীনের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ আনা হয়েছে বলে সিএনএন অনলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস সম্পর্কে গত জানুয়ারিতে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। তখন থেকেই চিকিৎসা সামগ্রীর রপ্তানি কমিয়ে তা মজুত করতে শুরু করে বেইজিং।
চলতি বছরের শুরুতে চীনের আমদানি-রপ্তানির তথ্য যাচাই করেই এমন সিদ্ধান্তে আসা হয়েছে বলে প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়েছে। গত শুক্রবার কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে প্রতিবেদনটি হস্তান্তর করা হয়।
এর আগে স্থানীয় সময় রোববার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও দাবি করেন, করোনাভাইরাস সম্পর্কে তথ্য গোপন করেছিল চীন। আর ভাইরাসটি যে চীনের উহানের একটি ল্যাব থেকে ছড়িয়েছে সে ব্যাপারে ‘প্রচুর তথ্যও’ যুক্তরাষ্ট্রের হাতে রয়েছে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে, করোনাভাইরাস উহানের ল্যাব থেকেই ছড়িয়েছে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। তবে করোনাভাইরাস মানবসৃষ্ট নয়, এমনকি তা জেনেটিকভাবে পরিবর্তিতও নয়।
জানুয়ারি থেকে চিকিৎসা সামগ্রী মজুত এবং করোনাভাইরাস সম্পর্কে চীনের তথ্য গোপনের বিষয়ে এবিসি টিভির পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয় পম্পেওর কাছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আপনি যে তথ্য পেয়েছেন তা সঠিক’। তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ব যাতে সঠিক সময় রোগটির বিষয়ে কিছু জানতে না পারে তার জন্যই তথ্য গোপন করেছিল চীনের সরকার’।
পম্পেও এমন এক সময় এ মন্তব্য করলেন যখন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন তথ্য গোপনের অভিযোগে চীনের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাসহ বেশ কিছু ‘শাস্তি’র কথা ভাবছে।
চীনের দাবি, কোনো ধরনের তথ্যই বেইজিং গোপন করেনি। বরং সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার সঙ্গে করোনাভাইরাস সম্পর্কে তথ্য দিয়ে গেছে বিশ্ববাসীকে।
লাইটনিউজ