সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা মামলায় দেওয়া সাজার বিরুদ্ধে করা আপিলে খালাস পেয়েছেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।
ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তারিক এজাজের আদালত সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) এ রায় দেন। এসময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান।
বাদী পক্ষের আইনজীবী তানভীর আহমেদ আল-আমিন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি দুপুরে ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. ইব্রাহিম মিয়ার আদালতে মাহমুদুর রহমানের সাজার বিরুদ্ধে আপিল শুনানি হয়। শুনানি শেষে রায়ের জন্য ১০ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন আদালত।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর দেশে ফিরেন সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান। এর দুই দিন পর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে আপিলের শর্তে জামিন আবেদন করেন তিনি।
শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে মাহমুদুর রহমানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পাঁচ দিন কারাভোগের পর ৩ অক্টোবর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে জামিন পান তিনি।
সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ এবং হত্যাচেষ্টার মামলায় ২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূরের আদালত মাহমুদুর রহমান ও সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ ৫ জনকে পৃথক দুই ধারায় সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত অপর তিন আসামি হলেন- জাসাস নেতা মোহাম্মদ উল্লাহ, রিজভী আহমেদ সিজার ও মিজানুর রহমান ভুইয়া।
ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।
২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি এই পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১২ জন সাক্ষ্য দেন এ মামলায়।
শেখ হাসিনার শাসনামলে মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে সারা দেশে ১২৪টি মামলা করা হয়েছিল। ২০১০ সালের জুনে প্রথমে দফায় আমার দেশ বন্ধ করাসহ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে আটক করা হয়।
দ্বিতীয় দফায় ২০১৩ সালের ১১ এপ্রিল আমার দেশ বন্ধ করে মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে দেওয়া হয় বিভিন্ন মামলা রিমান্ডে নিয়ে চালানো হয় অমানবিক নির্যাতন।
পরবর্তীতে এক মামলায় মাহমুদুর রহমান এবং তার স্ত্রীকে ৭ বছর কারাদণ্ড দেন আদালত। এরপরই তাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন মাহমুদুর রহমান।