বরগুনা প্রতিনিধি : বরগুনায় জুয়া খেলা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই ইউপি সদস্যের সংঘর্ষে সাইফুল ইসলাম সবুজ (২২) নামের এক কলেজছাত্র নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে হাসপাতালে নেয়ার পথে সবুজ মারা যান। এঘটনায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরগুনা সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবির হোসেন মোহাম্মদ। সবুজের বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের রায়ভোগ কদমতলা গ্রামে। তার বাবার নাম ফারুক পহলান।
সবুজ ঢাকার একটি বেসরকারি কলেজে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে অধ্যায়নরত ছিলেন। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি আবির হোসেন মোহাম্মদ জানান, গত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন নিয়ে ওই এলাকার বর্তমান ইউপি সদস্য রাজা ও সাবেক ইউপি সদস্য স্বপন খানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢলুয়া ইউনিয়নের পশ্চিম রায়ভোগ এলাকায় জুয়ার আসর থেকে সাবেক ইউপি সদস্য স্বপন খানের সমর্থক চারজনকে আটক করে পুলিশ। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করে ছেড়ে দেয়া হয়। জুয়ার আসর থেকে ধরিয়ে দেয়ার জেরে বিকেলে ৫টার দিকে স্বপন খানের প্রায় ২০/২৫ জন সমর্থক সংঘবদ্ধ হয়ে লাঠিসোটা নিয়ে রায়ভোগ বাজারে এসে বর্তমান ইউপি সদস্য রাজার সমর্থকদের মারধর করতে শুরু করে। এক পর্যায়ে রাজা সমর্থকরাও পাল্টা হামলা চালায়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় এবং আহতদের উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। এসময় গুরুতর জখম অবস্থায় সবুজকে হাসপাতালে নেয়ার পথে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার সে মারা যায়। আহতদের বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এছাড়া, গুরুতর তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদি হয়ে রাতেই ১৪জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরো ৬/৭জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ওসি আরো জানান, ঘটনার পরপরই পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে ও জড়িত সন্দেহে কয়েকজনকে নজরদারিতে রাখে।
মামলার পর এজাহারভুক্ত ইউপি সদস্য রাজা ওরফে রাজু এবং সাহাবিল নামের দুজনসহ মোট ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
লাইট নিউজ/ বরগুনা