করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠার পর চোখে সমস্যা অনুভূত হওয়ার কথা জানিয়েছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
ডাউনিং স্ট্রিটের সংবাদ সম্মেলনে সোমবার জনসন বলেন, ‘মনে হচ্ছে কয়েক বছরে এই প্রথম আমাকে চশমা ব্যবহার করতে হবে। আমি মনে করি এটি সম্ভব…করোনাভাইরাসের সঙ্গে দৃষ্টিশক্তির সমস্যার যোগসূত্র থাকতে পারে।’
বরিস এমন কথা বললেও চিকিৎসকেরা এখন পর্যন্ত দৃষ্টিশক্তি নিয়ে কিছু বলেননি। সংক্রমিত হলে চোখে প্রদাহ হতে পারে এমন খবর এসেছে। কিন্তু সুস্থ হওয়ার পর কারো চোখের সমস্যার কথা এই প্রথম শোনা গেল।
গত ২৭ মার্চ বরিসের শরীরে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। এর ১০ দিন পর জ্বর, কাশিসহ উপসর্গগুলো না কমায় তাকে সেন্ট্রাল লন্ডনের সেন্ট টমাস হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখান থেকে নিতে হয় আইসিইউতে। কয়েক দিনের লড়াই শেষে প্রাণ নিয়ে বাড়ি ফিরতে সক্ষম হন।
নিজের প্রধান উপদেষ্টা ডোমিনিক কামিংসকে নিয়ে বরিস যখন চাপে আছেন, তখন তিনি এমন মন্তব্য করলেন। কামিংস কিছুদিন আগে লকডাউনের আইন অমান্য করেন। এরপর ব্রিটেনজুড়ে সমালোচনা শুরু হয়। তাকে বরখাস্তের চাপ আসে বরিসের উপর।
কিন্তু অবাক করার বিষয় হলো বরিসের মতো কামিংসও একই কথা বলেছেন। তার দাবি, চোখে সমস্যা আছে কি না সেটি পরীক্ষা করতে তিনি ৬০ মাইল গাড়ি চালিয়ে দেখেন!
‘করোনার উপসর্গ ছিল আমার। মাথা ব্যথা করছিল। চোখেও সমস্যা ছিল। এ কারণে অল্প একটু গাড়ি চালানোর সিদ্ধান্ত নেই,’ বলেছেন কামিংস।
বরিস জনসন এখন চোখের সমস্যার কথা বললেও ২০১৪ সালেই তাকে চশমা পরতে দেখা গেছে। ওই সময় একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, তার দৃষ্টিশক্তি একটু কমেছে।
লাইট নিউজ/আই