পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের আতঙ্কের মধ্যে নতুন করে যোগ হয়েছে পঙ্গপাল আতঙ্ক। ভারত হয়ে বাংলাদেশেও চলে আসতে পারে ঝাঁকে ঝাঁকে পঙ্গপাল তেমনটা আশঙ্কা করা হয়েছে ইতোমধ্যেই। পঙ্গপাল যেমন আমাদের কাছে আতঙ্কের নাম, ঠিক উল্টো পঙ্গপালই আতঙ্কে থাকে কোথাও কোথাও! অর্থাৎ, ওইসব অঞ্চলে পঙ্গপাল ধরে খেয়ে ফেলা হয়, বানানো হয় মজার মজার রেসিপি।
আফ্রিকার কোনো গহীন অঞ্চলে নয়, পঙ্গপাল জনপ্রিয় খাবার মধ্যপ্রাচ্যেরই অনেক দেশে। নানাভাবে তারা এই পঙ্গপাল ভক্ষণ করে থাকে। কেউ কেউ আবার ব্যবহার করে ওষুধ হিসেবে।
কুয়েতে পঙ্গপালের একটি রেসিপি খুবই জনপ্রিয়। প্রথমে পানিতে সেদ্ধ করা হয়। তারপর রোদে শুকিয়ে লবন দিয়ে পরিবেশন করা হয়, কোনো কোনো ক্ষেত্রে আবার তেলে ভাজা হয়। আগুনে পুড়িয়েও খান কেউ কেউ। স্থানীয় একজন সাংবাদিক মৌদি আল মিফতাহ বলেন, আমি আমার বাবাকে দেখেছি এটা খেতে। শুনেছি দাদাও খেতেন। আর এখন আমার কাছে এটা ভীষণ সুস্বাদু একটা খাবার।
কুয়েতের ৬৩ বছর বয়সী আবু আহমেদ পঙ্গপালের ব্যবসা করে থাকেন। তিনি বলেন, আমরা কয়েকজন মিলে সৌদি আরব থেকে আমদানি করে থাকি। তারপর সেগুলো ছড়িয়ে যায় কুয়েতের বিভিন্ন অঞ্চলে। এছাড়া নিজেরাও শীতের রাতে পঙ্গপাল ধরে সেগুলো খুচরা দরে বিক্রি করে থাকি।
তিনি আরো জানান, একটি প্যাকেটে পঙ্গপাল থাকে ২৫০ গ্রাম। বিক্রি হয় ১৪-১৬ ডলার করে। তবে ডিমওয়ালা পঙ্গপালের দাম আরো বেশি। কারণ সেগুলোর স্বাদ অসাধারণ। কুয়েতে নারী পঙ্গপালকে বলা হয় ‘আল মিকন’, পুরুষ পঙ্গপালকে ‘আসফুর’।
সৌদি আরবেও পঙ্গপাল খুবই জনপ্রিয়। কোনো অঞ্চলে নিষিদ্ধ হওয়ায় তারা লুকিয়ে বিক্রি করে থাকেন। আগ্রহী ক্রেতারা নিজে থেকেই বিক্রেতাদের খুঁজে নেন। আকার ও ওজন বুঝে এক একটি প্যাকেট বিক্রি হয় ২৫০ থেকে ৪০০ রিয়ালে। সবসময় পাওয়া যায়না বলে অনেকেই বেশি করে কিনে পরবর্তী বছরের জন্য মজুদ করেন।
ইয়েমেনেও খাওয়া হয় পঙ্গপাল। রাজধানী সানার বিভিন্ন জায়গায় বোতলে করে বিক্রি হয় এটি।
লাইট নিউজ