সময়ের হিসেবে বছর ঘুরে আবার হাজির হয়েছে লাইলাতুম মিন নিসফি শাবান (শাবান মাসের মধ্যবর্তী রাত)। যা আমাদের দেশে শবে বরাত নামে সমধিক পরিচিত। ‘শব’ শব্দের অর্থ রাত এবং ‘বরাত’ শব্দের অর্থ সৌভাগ্য। আরবি ‘লাইলাতুল বরাত’ মানে সৌভাগ্যের রাত।
আজ বৃহস্পতিবার রাত পবিত্র শবে বরাত। হিজরি সালের শাবান মাসের ১৪ তারিখ রাতটি মুসলিম উম্মাহ সৌভাগ্যের রজনী হিসেবে পালন করে। এই মর্যাদাপূর্ণ রাতে মহান আল্লাহ তায়ালা বান্দাদের জন্য তার অশেষ রহমতের দরজা খুলে দেন।
মহিমান্বিত এই রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পরম করুণাময়ের অনুগ্রহ লাভের আশায় বেশি বেশি নফল নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত, জিকিরে মগ্ন থাকবেন। অনেকে রোজা রাখেন, দান-খয়রাত করেন। অতীতের গুনাহের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা এবং ভবিষ্যৎ জীবনের কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করবেন মুসলমানরা।
২০২০ সালের শবে বরাত পালন করতে হবে ঘরে ২০১৯ সালে কি কেউ ভাবতে পেরেছিল ? মসজিদগুলো খালি থাকবে, মৃত আত্মীয়-স্বজনের কবর জিয়ারত করা যাবে না। ইবাদত-বন্দেগির মিশেলে একটা উৎসবের আবহ হারিয়ে যাবে। কিংবা কারও কল্পনায় ছিলো, এমন প্রাণঘাতী এক ভাইরাস অপেক্ষা করছে মানবজাতির জন্য। করোনার কথা তখন কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। এবার শবে বরাতের নফল ইবাদত-বন্দেগি বাসায় পালন করতে মুসল্লিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। সরকারিভাবে ঘরে থাকার সরকারি নির্দেশনাও রয়েছে। এ বিষয়ে দেশের শীর্ষ আলেম আল্লামা আহমদ শফীও পৃথক বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, শবে বরাতের রাতে যে ইবাদত করা হয় তা ফরজ কিংবা সুন্নত নয়, নফল। নফল ইবাদত ঘরে পালন করাই উত্তম।
বুধবার (৮ এপ্রিল) ইফার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়ংকর আকার ধারণ করছে। বাংলাদেশেও এর প্রভাব দৃশ্যমান। বিরাজমান এ পরিস্থিতিতে মহিমান্বিত এ রজনীতে নিজ নিজ বাসস্থানে অবস্থান করে ইবাদত বন্দেগির সময় ব্যক্তিগত দোয়া ও প্রার্থনা ছাড়াও করোনাভাইরাসের মহামারির আক্রমণ থেকে দেশবাসী, প্রিয় মাতৃভূমি, মুসলিম উম্মাহ ও বিশ্ববাসীকে সুরক্ষা ও নিরাপদ রাখতে মহান আল্লাহর দরবারে বিশেষ দোয়া করার জন্য দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।