করোনাভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিজ নিজ ঘরে হচ্ছে, সেই সিদ্ধান্ত আগেই হয়েছিল। কিন্তু পরীক্ষা কে নেবেন, এই প্রশ্নের উত্তরে যে অস্পষ্টতা ছিল, সেটা পরিষ্কার করা হল গতকাল। স্থানীয় কোনো কোনো শিক্ষা কর্মকর্তা প্রচার করছিলেন, পরীক্ষা ঘরে হলেও শিক্ষকরা সেখানে উপস্থিত থাকবেন। তবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ স্বাক্ষরিত এক আদেশে বলা হয়, পরীক্ষা নেবেন বাবা-মা।
পরীক্ষার আগে ঘরে ঘরে প্রশ্ন পাঠিয়ে দেবেন শিক্ষকরা। নির্দিষ্ট সময় শেষে স্বেচ্ছাসেবীরা গিয়ে খাতা তুলে এনে পৌঁছে দেবেন শিক্ষকদের কাছে। দেশে করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এমন উদ্যোগ নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিগগিরই এর বাস্তবায়ন শুরু হবে। সাধারণত প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বাড়ি স্কুলের আশপাশেই হওয়ায় এই পদ্ধতির বাস্তবায়ন ভালোভাবেই সম্ভব বলে মনে করছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
প্রাথমিক স্তরের শিক্ষাসূচি অনুযায়ী এপ্রিল মাসের শুরুতে প্রথম সাময়িক পরীক্ষা হওয়ার কথা, যা এখনও অনুষ্ঠিত হয়নি। একইভাবে দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা হওয়ার কথা আগস্টে এবং তৃতীয় সাময়িক পরীক্ষা ডিসেম্বরের মধ্যে। আর নভেম্বরের মধ্যে হওয়ার কথা পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষা। করোনার কারণে সব পরীক্ষাগুলোই এখন অনিশ্চয়তার মুখে।
নতুন এই উদ্যোগের বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম আল হোসেন বলেন, এই উদ্যেগে আমাদের স্লোগান হলো- ‘মায়েরাই প্রথম শিক্ষক’। আশাকরি শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং অভিবাবকরা স্বতস্ফূর্তভাবে এই উদ্যোগে অংশ নেবেন। ‘নিরক্ষর মায়েদের ক্ষেত্রে কী হবে’ এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, তেমনটা এখন আর নাই বললেই চলে।
লাইটনিউজ/এসআই