স্টাফ রিপোর্টার : দিন যতো গড়াচ্ছে, সড়ক-মহাসড়ক ততই স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। শুধু যাত্রীবাহী বাস ছাড়া সড়কে এখন সবধরনের যানবাহনই চলছে।
বুধবার (৬ মে) সকালেও সড়কে প্রচুর যানবাহন দেখা গেছে। কোথাও কোথাও যানজটও ছিলো। মূলত সরকার অঘোষিত লকডাউন শিথিলতার পথে হাঁটার পরই সড়কে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। যদিও দেশে দিন দিন করোনা ভাইরাস সংক্রমণের হার বেড়েই চলছে।
বুধবার রাজধানীর সড়ক ও ঢাকার সঙ্গে সংযোগকারী বিভিন্ন মহাসড়কের প্রবেশ পথে চোখে পড়ার মতো যানবাহন লক্ষ্য করা গেছে। রাজধানীর অনেক জায়গায়ই মৃদু যানজট দেখা গেছে। এছাড়া গাড়ি সামাল দিতে ট্রাফিক পুলিশেরও ব্যস্ততা বেড়েছে।
নগরের আব্দুল্লাহপুর, গাবতলী ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় দেখা গেছে, গাড়ির প্রচুর চাপ। কার, হাইয়েস মাইক্রোবাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও লেগুনা করেই ঢাকায় প্রবেশ করছে মানুষ। সেই গাড়ির ভেতরে শারীরিক দূরত্ব মানার কোনো বালাই নেই। গাদাগাদি করে যাত্রী নিয়ে আসছে এসব যানবাহন। অনায়াসে রাজধানীতে প্রবেশ করছে প্রচুর মানুষ।
শুধু বাস ছাড়া সব গাড়ি চলছে সড়কে। প্রতি মুহূর্তে সারি সারি গাড়ি লাইন ধরে প্রবেশ করছে। সেইসঙ্গে ঢাকা থেকে বের হচ্ছেও প্রচুর গাড়ি। এছাড়া মোটরসাইকেল করে প্রচুর যাত্রী আসছে নগরে। সিএনজি অটোরিকশার স্ট্যান্ডগুলোও সচল রয়েছে। অটোরিকশার চালকরা যাত্রী নিয়ে নানা জায়গায় যাচ্ছেন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুরে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তারা বাংলানিউজকে জানান, গাড়ির চাপ সামালে হিমশিম খেতে হচ্ছে। মানুষ শারীরিক দূরত্ব মানছে না। নানা অজুহাত দেখিয়ে গাদাগাদি করে পরিবহন করছে গাড়িগুলো।
সাইফ নামের মাইক্রোবাসের একজন যাত্রী বলেন, পরিবারের সদস্য অসুস্থ, তাই তিনি ঢাকায় আসছেন। গাদাগাদি করে যাত্রী নিয়েছেন কেন জানতে চাইলে মাইক্রোবাসের চালক শফি সরি বলে শটকে পড়েন। ঢাকায় যত মানুষের আনাগোনা বাড়ছে, ততটাই ঝুঁকি বাড়ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
লাইট নিউজ