লাইট নিউজ প্রতিবেদক : রাজীবপুর উপজেলায় জ্বর,পাতলা পায়খানা ও বমি নিয়ে মমিনুল ইসলাম(১৫) নামের এক কিশোর মৃত্যু বরণ করেছে।
প্রতিবেশীদের ধারনা ওই কিশোরের করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ হয়েছিল।তবে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে করোনা সংক্রমণের বিষয়টি নিশ্চিত করে নি।এবং তার নমুনাও সংগ্রহ করা হয়নি।পরিবারের সদস্যরা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় তার দাফন সম্পন্ন করেছে।
মৃত কিশোর সদর ইউনিয়নের জাউনিয়ারচর গ্রামের জাবেদ আলীর পুত্র।জ্বর, পাতলা পায়খানা ও বমি হলেও তথ্য গোপন করে হাসপাতালে না এসে ওই কিশোর বাড়িতেই ছিল। মঙ্গলবার ওই কিশোরের শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে স্বজনেরা।হাসপাতালে আসার পথেই সে মৃত্যু বরণ করে। রাজীবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।
ওই কিশোরের মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারের ২৮ বছর বয়সী চাচি সাবিনা এবং কাকলী (১০) নামের দুই জনকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন কেন্দ্র রাখা হয়েছে।এছাড়াও সাবিনা বেগমের দুই মেয়ে কামরুন্নাহার (১০) সাবিয়া(৭) কে হোম কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়েছে।রাজীবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিসংখ্যানবিদ রোকনুজ্জামান রাজু এই তথ্য জানিয়েছেন।
কিশোরের মৃত্যুর ঘটনায় আশেপাশের ১৫ টি বাড়ির সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন রাজীবপুরের ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) মোঃআল ইমরান।
এ বিষয়ে রাজীবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.দেলোয়ার হোসেন জানান,জ্বর, বমি নিয়ে মৃত্যু বরণকারী কিশোরের বাড়ির সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।দুই জনকে হাসপাতালে আইসোলেশনে ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। মৃতের নমুনা সংগ্রহের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন,নমুনা সংগ্রহ করা হয় নি।বাকী ৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে রিপোর্ট পেলেই জানা যাবে তারা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কিনা।
লাইট নিউজ/রুস