বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত কেন ‘আত্মহত্যা’ করেছেন? দুপুরে মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই একটাই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন তার ভক্তরা।
সেই প্রশ্নের উত্তর এখনই না পাওয়া গেলেও জানা গেছে, সুশান্ত সিং রাজপুতের মরদেহ নেওয়া হয়েছে ড. আরএন কুপার মিউনিসিপ্যাল হাসপাতালে। সেখানেই সোমবার ময়নাতদন্ত করা হবে তার এবং সেদিনই মুম্বাই বা পাটনাতে শেষকৃত্য করা হবে।
এদিকে মুম্বাই প্রশাসনের বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো আরও জানিয়েছে, এরই মধ্যে সুশান্তের বোন ড. আরএন কুপার মিউনিসিপ্যাল হাসপাতালে অবস্থান করছেন। সকালে পাটনা থেকে মুম্বাইয়ে পৌছানোর কথা রয়েছে সুশান্তের বাবা কৃষ্ণ কুমার সিং এর। তার পরিবার জন্মস্থান পাটনায় শেষকৃত্য করতে চাইলে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে মুম্বাই প্রশাসন।
রোববার (১৪ জুন) মুম্বাইয়ের বান্দ্রার নিজের ফ্ল্যাটে গলায় ফাঁস লাগিয়ে মাত্র ৩৪ বছর বয়সে ‘আত্মহত্যা’ করেছেন বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত। প্রাথমিক ভাবে স্থানীয় পুলিশ ধারণা করছে, ‘আত্মহত্যা’ করেছেন এই অভিনেতা। তবে কখন, কোন সময় আর কি কারণে সুশান্ত আত্মহত্যা করেছে সেই তথ্য এখনো মেলেনি।
ভারতীয় চ্যানেল স্টারপ্লাসে প্রচারিত ‘কিস দেশ মে হ্যায় মেরা দিল’ সিরিয়ালের মধ্য দিয়ে ২০০৮ সালে অভিনয় দুনিয়ায় পা রেখেছিলেন সুশান্ত সিং রাজপুত। এরপর ২০০৯ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত জি টিভিতে প্রচারিত ‘পবিত্র রিশতা’তে মানব চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকমহলে বেশ সাড়া ফেলেছিলেন প্রয়াত এই তারকা।
টেলিভিশনে সফলতা অর্জনের পর ২০১৩ সালে ‘কাই পো চে’ ছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে বড়পর্দায় অভিষেক হয় সুশান্ত সিং রাজপুতের। যার জন্য সেরা নবাগত অভিনেতা হিসেবে ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড ঘরে তুলেছিলেন সুশান্ত।
একই বছর মুক্তি পায় তার অভিনীত ‘শুদ্ধ দেশি রোমান্স’। এরপর ২০১৫ সালে ডিটেকটিভ থ্রিলার ‘বোমকেশ বক্সি’তে কাজ করেন তিনি। ৩৪ বছর বয়সী এই তারকাকে দেখা গেছে আমির খানের ‘পিকে’তে।
তবে সুশান্ত তার ক্যারিয়ারে সফলতা পেয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক এমএস ধোনির জীবনী নিয়ে নির্মিত ‘এমএম ধোনি: দ্য আনটোল্ড স্টোরি’তে কাজ করে। এটি ছিলো তার টার্নিং পয়েন্ট। এর সুবাদে ফিল্মফেয়ারে সেরা অভিনেতার মনোনয়ন পেয়েছিলেন তিনি। এছাড়াও তার অভিনীত ‘কেদারনাথ’ বাণিজ্যিকভাবে বেশ সফলতা অর্জন করেছিলো।
গত বছর মুক্তি পায় সুশান্ত সিং রাজপুত অভিনীত ‘ছিছোড়ে’। আর এটিই ছিলো বলিউডের এই অভিনেতার শেষ ছবি।