দেশের বিভিন্ন স্থানের হাট-বাজারে লোক সমাগমের দৃশ্য দেখে তো মনে হয় না মহামারি আছে বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।
করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে ঢাকা মহানগরীতে লকডাউনের দাবিতে করা রিটের শুনানিতে এমন মন্তব্য উঠে আসে দেশের উচ্চ আদালত হাইকোর্ট থেকে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন রিটকারী আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি নিয়ে রোববার (১৪ জুন) হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন। একই সঙ্গে এ রিটের ওপর আদেশের জন্য সোমবার (১৫ জুন) আদেশের দিন ধার্য করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মুরাদ রেজা ও ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট অমিত তালুকদার।
শুনানিতে বাদীপক্ষের কৌঁসুলি মনজিল মোরসেদ বলেন, “বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কোভিড-১৯ প্রতিরোধে বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুসারে ব্যবস্থা নেয়া হয় এবং আমাদের দেশের ‘সংক্রামক প্রতিরোধ আইন, ২০১৮’-তে এ ধরনের মহামারির সময় সিদ্বান্ত নেয়ার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে যথেষ্ট ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আদালতের নির্দেশে একটি উপদেষ্টা কমিটি গঠন করেছে এবং ১৭ সদস্যবিশিষ্ট একটি জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করেছে। জাতীয় টেকনিক্যাল বিশেষজ্ঞ কমিটি বর্তমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঢাকা শহর লকডাউন ঘোষণার সুপারিশ করেছে। কিন্তু সে ব্যাপারে পদক্ষেপ না নেয়ায় অনেক মানুষের মধ্যে ভাইরাস সংক্রমণ হতে পারে। যার পরিপ্রেক্ষিতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যেতে পারে।”
তিনি বলেন, ‘বেঁচে থাকার অধিকার সংবিধানের আর্টিকেল ৩২ অনুসারে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃত এবং আদালতকে উক্ত অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনে যেকোনো আদেশ নির্দেশ দেয়ার ক্ষমতা সংবিধানের আর্টিকেল ১০২-এ দেয়া হয়েছে। উক্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করে ঢাকা শহর লকডাউন ঘোষণার জন্য আদেশের প্রার্থনা করছি।
লাইটনিউজ/এসআই