তিন নয় বরং ১৩ ফুটের মধ্যে থাকা ব্যক্তিও করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মাধ্যমে ভাইরাসে সংক্রমিত হতে পারেন। চীনের গবেষকরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছেন।
বেইজিংয়ের অ্যাকাডেমি অব মিলিটারি সায়েন্সের গবেষকরা ইমাজিং ইনফেকশাস ডিজিজ সাময়িকীতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছেন।
ডেইলি মেইল অনলাইন জানিয়েছে, চীনা বিজ্ঞানীরা উহানের হৌশেনশান হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট ও কোভিড-১৯ আক্রান্তদের জেনারেল ওয়ার্ডের চারপাশ ও বাতাস পরীক্ষা করেছিলেন। দেখা গেছে, বাতাসের মধ্যে কয়েক ঘণ্টা টিকে থাকতে পারছে ভাইরাস। আক্রান্ত ব্যক্তির কফ বা হাঁচি থেকে বের হওয়া পানির ফোঁটা মেঝেতে পড়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ভাইরাস বাতাসে ছড়িয়ে পড়ছে। আক্রান্ত ব্যক্তির ১৩ ফুট পর্যন্ত দূরত্বে মেঝের ওপর ভাইরাস ঘোরাফেরা করে। আক্রান্ত ব্যক্তির আট ফুট উপরেও সামান্য ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিভিন্ন দেশের সরকার সামাজিক দূরত্ব হিসেবে ছয় ফুটের যে নির্দেশনা দিয়েছে তা যথেষ্ঠ নয় বলে দেখা যাচ্ছে। অবশ্য এই দূরত্বের মধ্যে থাকা ভাইরাস সংক্রমণ করে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়।
গবেষকরা মেঝের ওপর থাকা ভাইরাসের পরীক্ষা করে দেখতে পেয়েছেন, হাসপাতালের ওয়ার্ডগুলোর মেঝের ওপরই ভাইরাসগুলো থাকছে। তাদের দাবি, সম্ভবত মধ্যাকর্ষণ শক্তি ও বাতাসের প্রবাহের কারণে অধিকাংশ ভাইরাস মেঝেতে ভেসে বেড়ায়। যেসব স্থানে ঘন ঘন হাত দেওয়া হয় সেসব স্থানে, যেমন-কম্পিউটারের মাউস, আবর্জনার ঝুড়ি, বিছানার প্রান্ত ও দরজার হাতলে উচ্চমাত্রার ভাইরাস পাওয়া গেছে। এছাড়া আইসিইউর চিকিৎসা কর্মীদের জুতার তলা থেকে নমুনার অর্ধেক ভাইরাস পাওয়া গেছে। তাই চিকিৎসাকর্মীদের জুতার তলাকে ভাইরাস বহনকারী বলা যায়।
গবেষকরা বলেছেন, ‘উৎসাহব্যঞ্জক বিষয় হচ্ছে হাসপাতালের কোনো কর্মীর মধ্যে ভাইরাস সংক্রমিত হয়নি। এর মানে হচ্ছে পর্যাপ্ত সতর্কতা গ্রহণ করলে সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব।’