শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৩২ পূর্বাহ্ন

খাগড়াছড়িতে জেএসএস-ইউপিডিএফের গোলাগুলি, নিহত ৪

লাইটনিউজ রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ২৬ জুলাই, ২০২৫

পার্বত্যজেলা খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় উপজেলার দুর্গম নাড়াইছড়িতে জেএসএস-ইউপিডিএফের সদস্যদের মধ্যে গুলিবিনিময়ের ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট-ইউপিডিএফ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি-জেএসএস এর সদস্যদের মধ্যে এ গোলাগুলি হয় বলে জানিয়েছেন দীঘিনালা থানার ওসি মো. জাকারিয়া।

পুলিশ জানায়, ইউপিডিএফ দলের সশস্ত্র গ্রুপ কমান্ডার বিপ্লব চাকমার নেতৃত্বে ৪০ থেকে ৪৫ জনের একটি দল এবং জেএসএস দলের সশস্ত্র কমান্ডার জয়দেব চাকমার নেতৃত্বে ৩৫ থেকে ৪০ জনের আরেকটি দল জোড়া সিন্ধু কারবারিপাড়া এলাকায় মুখোমুখি হয়। তখনই দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ব্যাপক গুলিবিনিময় হয়।

এ ঘটনায় প্রসীত নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) সামরিক শাখা ‘গণমুক্তি ফৌজ’ বা ‘পিপলস লিবারেশন আর্মি’-এর চার সদস্য নিহত হন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে নিহতদের নাম-ঠিকানা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকারিয়া বলেন, ‘জোড়া সিন্ধু কারবারিপাড়া এলাকায় গোলাগুলির খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে।’

ইউপিডিএফের জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা শনিবার সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “এ গোলাগুলির ঘটনা সংঘটিত হওয়ার কোনো তথ্য ইউপিডিএফের জানা নেই এবং ইউপিডিএফ একটি গণতান্ত্রিক দল হিসেবে ‘গণমুক্তি ফৌজ’ বা ‘পিপলস্ লিবারেশন আর্মি’ নামে তার কোনো সামরিক শাখা থাকার প্রশ্ন একেবারে অবান্তর ও কাল্পনিক।”

ভাইবোনছড়ায় ত্রিপুরা কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলন থেকে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করতে একটি বিশেষ স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী দুরভিসন্ধিমূলক মিথ্যা প্রচারে নেমেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

১৯৯৭ সালে সরকার এবং জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা) নেতৃত্বাধীন জেএসএসের মধ্যে পার্বত্য শান্তি চুক্তির পর তার বিরোধিতায় গড়ে ওঠে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)।

সেই থেকে দুই দলের বিরোধে ২০১৬ পর্যন্ত সশস্ত্র সংঘাতে মারা গেছে প্রায় এক হাজার নেতা-কর্মী। ২০১৬ সালে দুই দলের মধ্যে অলিখিত ও অপ্রকাশ্য এক সমঝোতায় সশস্ত্র সংঘাত থামলে কিছুটা স্বস্তি আসে পাহাড়িদের মনে।

কিন্তু এরই মধ্যে জেএসএস থেকে বেরিয়ে জেএসএস (এমএন লারমা) এবং ইউপিডিএফ ভেঙে ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) দল গড়ে ওঠে, যা সংঘাতে আনে নতুন মাত্রা।

আরো সংবাদ

© All rights reserved © 2020 Lightnewsbd

Developer Design Host BD