গতকাল পর্যন্ত আফ্রিকার সবগুলো দেশ মিলিয়ে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ১৯ হাজার মানুষের শরীরে। মৃতের সংখ্যা ১ হাজারেরও কাছাকাছি। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত মিশরে, ২ হাজার ৮৪৪ জন, মারা গেছে ২০৫ জন। দক্ষিণ আফ্রিকায় ২ হাজার ৭৮৩ আক্রান্তের বিপরীতে মৃত ৫০। মৃতের সংখ্যায় সবচেয়ে এগিয়ে আলজেরিয়া, মৃত্যুবরণ করেছেন ৩৬৪ জন। আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৪০০।
চীনের পর ইউরোপ-আমেরিকাকে স্তব্ধ করে দিয়েছে নভেল করোনাভাইরাস। এরপর আফ্রিকায় চলতে পারে এই ভাইরাসের তাণ্ডব, হয়ে উঠতে পারে করোনার পরবর্তী কেন্দ্র, এমন মত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও)। এই সংস্থার আশঙ্কা, মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণে আফ্রিকায় মৃত্যু হতে পারে ৩ লাখ মানুষের। দরিদ্র হয়ে যেতে পারে ৩ কোটি মানুষ।
হাতে গোনা কয়েকটি দেশ বাদে আফ্রিকার জনগোষ্ঠী এমনিতেই দরিদ্র। শহুরে নাগরিকদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশই থাকেন বস্তিতে। গাদাগাদি করে থাকা এসব বস্তিবাসীর মধ্যে যদি করোনাভাইরাস একবার ঢুকে পড়ে তাহলে সেটা ছড়িয়ে পড়বে বিদ্যুত গতিতে। তাছাড়া পৃথিবীর ওই অঞ্চলে সুপেয় পানি এবং নিরাপদ খাদ্যের অভাব তো আছেই। তুলনামূলক অসচেতন আফ্রিকার জনগোষ্ঠী করোনাভাইরাস থেকে খুব একটা সতর্ক থাকবে, এমনটাও আশা করা কঠিন।
সবকিছু বিবেচনায় জাতিসংঘের বিশেষ অর্থনৈতিক কমিশন ধেয়ে আসা করোনাভাইরাস থেকে আফ্রিকার জনগনকে সুরক্ষার জন্য ১০০ কোটি ডলারের তহবিল গঠন করার আহ্বান জানিয়েছে।
ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, আফ্রিকা মহাদেশের বেশিরভাগ দেশেরই চিকিৎসা ব্যবস্থা শোচনীয়। নেই পর্যাপ্ত হাসপাতাল, চিকিৎসা সরঞ্জাম। অনেক দেশে এখনও করোনা পরীক্ষার কিটও পৌঁছেনি। এ অবস্থায় করোনাভাইরাস ভয়ংকরভাবে ছড়িয়ে পড়লে তারা ঠিকভাবে প্রতিরোধও করতে পারবে না।