আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের সরকারি ও অনেক বেসরকারি হাসপাতালগুলো যখন করোনা আক্রান্ত রোগীদের সেবাদানে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। ফ্রন্টলাইনে কর্মরত যোদ্ধারা জীবন বাজী রেখে কাজ করছেন। তখন কিছু হাসপাতাল-ক্লিনিক যে কোনো সাধারণ সেবায় গেলেও বাধ্যতামূলক করোনা টেস্ট করানোর কথা বলছে, কিংবা করোনা রিপোর্ট ছাড়া চিকিৎসা দিচ্ছেন না। এমনকি কোনো কোনো হাসপাতাল রোগী ভর্তি না করার জন্য নানান ছলচাতুরী আশ্রয় নিচ্ছে, এ মুহূর্তে এটা সমীচীন নয়।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) তার সরকারি বাসভবন থেকে ব্রিফিংকালে মন্ত্রী একথা বলেন।
তিনি বলেন, আবার করোনা টেস্টের ক্ষেত্রে কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান স্মার্ট এবং দ্রুত সেবা দিলেও কারো কারো বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। একদিকে টেস্টের সিরিয়াল পেতে সময় লাগে অন্যদিকে নমুনা দেবার পর রেজাল্ট পেতে লাগছে কয়েক দিন। অহেতুক এসময় ক্ষেপণে রোগী ও তার আত্মীয় স্বজনরা যেমন উদ্বিগ্ন হচ্ছে, তেমনি মনোবল হারানোর পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। আবার অনেকে মৃত্যুর মুখেও পতিত হচ্ছেন। এসকল প্রতিষ্ঠানকে স্বল্প সময়ে রিপোর্টদান এবং নমুনা সংগ্রহের সমন্বয় বাড়ানোর পাশাপাশি সেবার মান বাড়ানোর আহ্বান জানচ্ছি।
বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে মানবিক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, কিছু বেসরকারি হাসপাতাল যারা মানুষের অসহায়ত্ব নিয়ে বাণিজ্য করছে। তাদের এব্যাপারে সর্তক হওয়া উচিত। এ দুর্যোগে মানবিক হওয়া উচিত। অযৌক্তিক, অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরীক্ষা পরিহার করে সঠিক সেবা দান করুন। জটিল রোগীদের তাৎক্ষণিক সেবা প্রদান দেরি হলে তা মৃত্যুর ঝুঁকিতে পতিত হবে।
বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যের জবাবে কাদের বলেন, বিএনপি মহাসচিব বরাবরের মতো সরকারের বিরুদ্ধে বিরূপ সমালোচনা করতে গিয়ে বিরাজনীতি করণের অভিযোগ এনেছেন। এ সংকটকালে সরকার তো কোন রাজনীতি করছে না? এমন কি আওয়ামী লীগও এসময়ে কোন রাজনৈতিক কার্যক্রম করছে না।
তিনি বলেন, যদি কোন রাজনৈতিক দল দেশের স্বার্থে ভালো পরামর্শ দিতে চায়, সেটা সরকার গ্রহণ করবে। কোন ভুল হলে ভুল সংশোধন করার সৎ সাহস সরকারের রয়েছে।
লাইট নিউজ