কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো তার ব্যক্তিত্বের জন্য বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়। তাকে কখনই হুট করে কাউকে আক্রমণ বা সমালোচনা করতে দেখা যায়নি। যে কোনো পরিস্থিতি ঠাণ্ডা মাথায় সামাল দেন তিনি।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিদিনই সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন ট্রুডো। মঙ্গলবারও এই ঘটনার ব্যতিক্রম হয়নি। দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন ট্রুডো।
সেখানেই আমেরিকার বর্তমান পরিস্থিতি এবং বিক্ষোভ দমন করতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সেনা মোতায়েনের হুঁশিয়ারি নিয়ে ট্রুডোকে প্রশ্ন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো এবারও তার স্বভাবসুলভ আচরণ থেকে বের হননি। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য প্রায় ২০ সেকেন্ড সময় নেন তিনি। তবে তার চেহারায় অস্বস্তি ফুটে উঠেছিল। বেশ কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর কথা বলেন তিনি।
ট্রুডো বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান পরিস্থিতি আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। তিনি বলেন, এখনই সময় সবাইকে একত্র করার। এটাই সময় তাদের কথা শোনার। দশকের পর দশক উন্নতির ধারা এগিয়ে চললেও যেসব স্থানে অবিচার হচ্ছে তা জানা প্রয়োজন।
কানাডাতেও বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রয়োজন নিয়ে কথা বলেছেন ট্রুডো। যুক্তরাষ্ট্রের বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কানাডাও একাত্মতা প্রকাশ করেছে। সেখানেও কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হত্যার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ-প্রতিবাদে অংশ নিয়েছে মানুষ।
ট্রুডোকে এক সাংবাদিক ট্রাম্পের কথা এবং কাজের ব্যপারে জিজ্ঞেস করলে ট্রুডো বলেন, কানাডার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমার কাজ আমার দেশের মানুষের পাশে দাঁড়ানো। এভাবেই নিজের অবস্থান ব্যক্ত করেছেন তিনি।
গত ২৫ মে পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু হয় জর্জ ফ্লয়েড নামে এক কৃষ্ণাঙ্গের। গ্রেফতারের পর পুলিশের নির্যাতনে মারা যান তিনি। এরপরেই তাকে নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তা থেকেই বিক্ষোভের সূত্রপাত। যুক্তরাষ্ট্রের গণ্ডি পেরিয়ে এই বিক্ষোভ এখন দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।