রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:২৯ পূর্বাহ্ন

দেশেই তৈরি হলো করোনার ওষুধ!

লাইটনিউজ রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২০

নভেল করোনাভাইরাস বা কোভিড ১৯-এর জন্য এখন পর্যন্ত কোনও ওষুধ তৈরি না হলেও দেশ-বিদেশের চিকিৎসক, গবেষকরা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। কেবল ওষুধ নয়, গবেষকরা কাজ করছেন দ্রুত ও সহজেই করোনা শনাক্তের জন্যও। এরইমধ্যে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য ওষুধ বানিয়েছে দেশের ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস।

এ তথ্য জানিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর ও কোম্পানিটি। ‘তবে এটা এখনও ট্রায়াল পর্যায়ে রয়েছে। স্পেসিফিকভাবে করোনার জন্যই এ ওষুধ—সেটাও বলা যাবে না’ বলে মন্তব্য করেছেন ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান।

তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসের স্পেসিফিক ওষুধ সারা পৃথিবীতেই আবিষ্কার হয়নি। তবে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ওষুধ ব্যবহার করে ভালো ফল পাওয়া গেছে। এরকম একটা ওষুধ হচ্ছে ফ্যাভিপিরাভির, যা কিনা ‘অ্যাভিগান’ নামে জাপানের ফুজি কোম্পানির অঙ্গপ্রতিষ্ঠান তোয়ামা তৈরি করেছিল। এ ওষুধ ইনফ্লুয়েঞ্জাতে ব্যবহৃত হয়।’

এ ওষুধটি চীন ব্যবহার করছে, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রে ট্রায়াল হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কিছু কিছু জায়গায় ভালো ফল পাওয়া গেছে। বাংলাদেশের বিকনও এই ওষুধটি তৈরি করেছে, ওষুধ আমাদের কাছে রেখেছি। যদি কখনও কোনও ওষুধ দিয়ে ট্রায়াল করা হয়, তখন আমরা কোথায় পাবো—সেজন্যই এটা একটা প্রস্তুতি।’

একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটা করোনা রোগের ওষুধ—এটা বলার সময় এখনও হয়নি। এটা হয়তো একটা ট্রায়াল হতে পারে। ট্রায়ালের পর যদি ভালো ফল পাওয়া যায়, তখন কিছু হতে পারে।’

গত সপ্তাহে বিকন ফার্মা অধিদফতরের কাছে ওষুধ দিয়েছে এবং ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর এ সংক্রান্ত সবকিছু স্বাস্থ্য অধিদফতরকে জানিয়েছে বলেও জানান তিনি। মাহবুবুর রহমান।বলেন, ‘এগুলো খুবই অ্যাকটিভ কনসিডারেশনে আছে, ট্রায়ালে হয়তো ব্যবহার হবে।

তিনি বলেন, ‘কেবল বিকনই নয়, আরও কয়েকটি ওষুধ কোম্পানি অনুমতি নিয়েছে। কেউ ইতোমধ্যে ওষুধ তৈরিও করেছে। কেউ কাঁচামাল এনেছে, ওষুধ তৈরি করবে। তবে মূল কথা হচ্ছে, আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে ওষুধ নিয়ে। যদি দরকার হয় ব্যবহার করা যাবে।’

এদিকে বিকন ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবাদুল করিম বলেন, ‘ওষুধটি ইনফ্লুয়েঞ্জার জন্য ছিল। এটা এন্টিভাইরাল ড্রাগ, করোনাতে কাজ করে বলে চীনে দেখা গেছে। অনেক দেশ এই ওষুধ নিয়ে কাজ করছে।’

এবাদুল করিম বলেন, ‘খুব শিগগিরই এর ট্রায়াল শুরু হবে বলে আমার ধারণা। ট্রায়ালে যদি পজিটিভ আসে, তাহলে কেবল আমাদের জন্য না, সারা বিশ্বের জন্যই ভালো খবর। মনে হয়, এ ওষুধের ভালো একটি আউটকাম আসতে পারে।’

প্রসঙ্গত, গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। তখন থেকে শনিবার (১১ এপ্রিল) পর্যন্ত দেশে করোনাভাইরাসে মারা গেছেন ৩০ জন। আর মোট শনাক্তের সংখ্যা ৪৮২ জন। আর আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সর্বমোট সুস্থ হয়েছেন ৩৬ জন।

লাইটনিউজ/এসআই

আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2020 Lightnewsbd

Developer Design Host BD