ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নতুন করে ১০৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। নমুনা দিয়ে আসার ছয়দিন পর এ রিপোর্ট আসে। এরমধ্যে নমুনা দিয়ে আসা অনেকেই অবাধে হাট-বাজারে ঘুরে বেড়িয়েছেন। এর ছয়দিন পর আজ জানতে পেরেছে, তারা করোনা আক্রান্ত ছিলেন। এদিকে, জেলায় একদিনে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যা এটি।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিভিল সার্জন অফিস থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
জেলা শহরের কাজী পাড়া এলাকার আশিকুর রহমান মিটু জানান, একজন ব্যক্তি সন্দেহজনকভাবে তার করোনা পরীক্ষা করায়। কিন্তু ফলাফল আসতে দেরি হওয়ার কারণে সে বাসায় বসে থাকে না। আক্রান্ত ব্যক্তিরা শহরে ঘুরে বেড়ালে তার কারণে আরও বেশ কিছু লোকজন আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যদি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা হয় তাহলে দিনের রিপোর্ট দিনে পেয়ে গেলে আক্রান্তের হার অনেকটাই কমে যাবে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. মো. একরাম উল্লাহ জানান, জেলায় করোনা পরীক্ষার জন্য পিসিআর ল্যাব না থাকায় প্রথমদিকে জেলা থেকে মাত্র এক থেকে দেড়শ নমুনা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হত। বর্তমানে প্রতিদিন চার থেকে পাঁচশ নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে। সেখানে সারাদেশের চাপের কারণে ফলাফল আসতে দেরি হচ্ছে। তবে আমরা প্রতিদিন ফলাফল পাওয়ার জন্য তাগদা দিচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ৪’শ ৭৮ জনের নমুনার ফল সিভিল সার্জন অফিসে পৌঁছায়। এরমধ্যে জেলায় ১’শ ৫ জনের করোনায় পজেটিভ অসে। এটিই এখন পর্যন্ত জেলায় সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যা। তবে এই ফলাফল ৬ দিন পরে আসে।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, শনাক্ত ১০৫ জনের মধ্যে সদর উপজেলার ৪৭ জন, কসবায় ৩৭ জন, বিজয়নগরে ২ জন, আশুগঞ্জে ৪ জন, সরাইলে ৮ জন ও নবীনগর উপজেলায় ৭ জন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এখন পর্যন্ত ৭ হাজার ৬’শ ৪১জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত সদর উপজেলায় ১’শ ৬১জন। জেলায় এখন পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন ৬ জন। যার মধ্যে চলতি জুন মাসেই চারজন মারা গেছেন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৮৯ জন।
লাইট নিউজ