দেশে করোনা পরিস্থিতি খারাপ থেকে আরো খারাপ দিকে যাচ্ছে। আক্রান্ত হয়তো কখনো আগের দিনের চেয়ে কম পাওয়া যাচ্ছে, কিন্তু বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে নির্ভর করছে কতগুলো নমুনা পরীক্ষা করা হলো তার ওপর। যেদিন নমুনা পরীক্ষা বেশি হচ্ছে সেদিন আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়ে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত যে পরিমাণ মানুষের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে তার প্রায় ২২ শতাংশের শরীরেই পাওয়া গেছে করোনার জীবাণু। এই পরিসংখ্যানকে দেশের জন্য ‘অশনিসংকেত’ বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
এখন পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২ লাখ ৯৭ হাজার ৫৪টি। কোভিড-১৯ আক্রান্ত হিসেবে পাওয়া গেছে ৪৪ হাজার ৬০৮ জনকে। শতাংশের হিসেবে এটি ২১ দশমিক ২৭, অর্থাৎ নমুনা পরীক্ষা করা প্রতি ১০০ জনের মধ্যে আক্রান্ত ২১ জনেরও বেশি আক্রান্ত। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া অন্যান্য দেশের তুলনায় এই সংখ্যা অনেক বেশি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে বিশাল সংখ্যক মানুষ এখনও পরীক্ষার আওতায় আসেনি, যারা আক্রান্ত হয়ে বসে আছেন। এসব মানুষগুলো দিব্যি সাধারণের সঙ্গে চলাফেরা করছেন, আর এতে করে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে আরো দ্রুত। নমুনা পরীক্ষা বাড়িয়ে যত বেশি মানুষকে, যত দ্রুত আক্রান্ত হিসেবে চিহ্নিত করা সম্ভব হবে ততই মঙ্গল।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৭৬৪ জন। মৃত্যুবরণ করেছেন আরো ২৮ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৪৪ হাজার ৬০৮ জনে, মোট মৃত্যু ৬১০। গত একদিনে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৯ হাজার ৯৮৭টি, অর্থাৎ পরীক্ষা করা নমুনার ১৭ শতাংশেরও বেশি আক্রান্ত হয়েছেন।
লাইটনিউজ/এসআই