রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:১৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :

ভয়ঙ্কর দুর্যোগের সামনে বাংলাদেশ, সকাল ৬টায় মহাবিপদ সংকেত

লাইটনিউজ রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ২০ মে, ২০২০

স্টাফ রিপোর্টার : ঘূর্ণিঝড় আম্পান দেশের উপকূল অঞ্চলের দিকে দ্রুত এগিয়ে আসছে। বর্তমানে দেশের উপকূলীয় এলাকাগুলোর মধ্যে পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে সবচেয়ে কাছাকাছি, ৬৯০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড়টি। বর্তমান গতিবিধি অনুযায়ী আগামীকাল বুধবার (২০ মে) সকাল ৬টায় মহাবিপদ সংকেত ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মোহাম্মদ এনামুর রহমান।

মঙ্গলবার (১৯ মে) সচিবালয়ে আায়োজিত এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলন থেকে এ তথ্য জানান তিনি। ঘূর্ণিঝড় আম্পানের অগ্রগতি তুলে ধরতে এই সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।

ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি ঘণ্টায় ২৪৫ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিতে এগিয়ে আসছে। বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৮১০ কিলোমিটার, কক্সবাজার বন্দর থেকে ৭৬৫ কিলোমিটার ও মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৯৫ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থান করছে।

ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে সবাইকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে জানিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই মুহূর্তে আমাদের প্রধান লক্ষ্য, উপকূলে যারা নিচু ও ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় বসবাস করছেন, তাদের সরিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া। গতকাল (সোমবার) থেকে এ কাজ শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে বিপুলসংখ্যক মানুষকে সরিয়ে আনা হয়েছে। রাত ৮টার মধ্যে সবাইকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, বুধবার সকাল ৬টায় মহাবিপদ সংকেত ঘোষণা দেওয়া হবে। এরপর আর লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকবে না। এখন পর্যন্ত যে গতিবিধি, তাতে ঘূর্ণিঝড়টি আগামীকাল সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে বাংলাদেশ ভূখণ্ডের ওপর দিয়ে অতিক্রম করতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতির কথা তুলে ধরে ডা. এনামুর বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সরকারের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় নিজ নিজ জায়গা থেকে প্রস্তুত রয়েছে। নৌবাহিনী, সেনাবাহিনী ও স্বাস্থ্য টিম প্রস্তুত। এমনকি ঝড় পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে আগাম প্রস্তুতি নেওয়া আছে। এখন শুধু আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে সবাইকে সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার অপেক্ষা করছি।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে দ্বিগুণ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে এবার ১২ হাজার ৭৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে, যা অন্যান্য সময়ের তুলনায় দ্বিগুণ। ঘূর্ণিঝড়ের সময় আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা মানুষের জন্য ৩১শ মেট্রিক টন চাল, ৫০ লাখ টাকা নগদ, শিশু খাদ্যের জন্য ৩১ লাখ টাকা, গোখাদ্যের জন্য ২৮ লাখ টাকা এবং ৪২ হাজার শুকনো খাবার প্যাকেট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সঙ্গে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। সে বৈঠকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবও উপস্থিত ছিলেন।

লাইট নিউজ

আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2020 Lightnewsbd

Developer Design Host BD