সোমবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২০ পূর্বাহ্ন

মোবাইল গ্রাহক কমেছে ২৪ লাখ

লাইটনিউজ রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ২০ জুন, ২০২০

করোনা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশে ইন্টারনেট সংযোগের বিস্ফোরণ ঘটেছিল গত মার্চ মাসে। ওই মাসে ১০ কোটির মাইলফলক অতিক্রমের পাশাপাশি নতুন সংযোগেরও রেকর্ড হয়। ইন্টারনেট সংযোগ বাড়ার সেই ধারাবাহিকতা অবশ্য বেশিদিন টিকে থাকেনি। এক মাস পেরুতেই অন্তত ২০ লাখ ইন্টারনেট সংযোগ কমে গেছে। একই সঙ্গে কমে গেছে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীও। এক মাসে কমেছে ২৪ লাখ সংযোগ।

গত মার্চে যেখানে দেশে প্রথমবারের মতো ৩২ লাখ ৬৯ হাজার নতুন ইন্টারনেট সংযোগ যুক্ত হয়েছে দেশের ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্কে। সেখানে এপ্রিলে নতুন সংযোগ খুব একটা যুক্ত হয়নি। শুক্রবার বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এপ্রিল মাসের হিসাব প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, দেশে মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১০ কোটি ১১ লাখ ৮৬ হাজারে। মার্চে ছিল ১০ কোটি ৩২ লাখ ৫৩ হাজার।

গত মার্চে সক্রিয় মোবাইল ফোনের সিমের সংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ৫৩ লাখ ৩৭ হাজার। কিন্তু এক মাস বাদেই এপ্রিলে এই সংখ্যা কমে ১৬ কোটি ২৯ লাখ ২০ হাজারে নেমে এসেছে। অর্থাৎ এক মাসে সক্রিয় মোবাইল সিম সংখ্যা কমেছে ২৪ লাখ ১৭ হাজার। বিটিআরসির তথ্য অনুযায়ী, টানা ৯০ দিন কোনো সিম এক বারের জন্যও ব্যবহৃত না হলে ওই সংযোগ নিষ্ক্রিয় হিসেবে ধরা হয়। প্রায় ১০ লাখ গ্রাহক কমার পর গ্রামীণফোনের সক্রিয় সিমের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ৪৩ লাখে। ৯ লাখ গ্রাহক হারিয়ে রবির সক্রিয় সিম সংখ্যা ৪ কোটি ৮৮ লাখ। আর ৪ লাখ গ্রাহক কমার পর বাংলালিংকের গ্রাহক ৩ কোটি ৪৮ লাখ। টেলিটকও ৭৩ হাজারের মতো সংযোগ হারিয়েছে। তাদের সক্রিয় সিম সংখ্যা এখন ৪৮ লাখের কিছু বেশি।

ইন্টারনেট সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোনও দেশে ১০ কোটি ইন্টারনেট সংযোগ থাকা অবশ্যই অত্যন্ত বড় একটি অর্জন। খুব কম দেশই এমন ল্যান্ডমার্ক অর্জন করতে পেরেছে। এপ্রিলের শেষে দেশের কার্যকর ব্রডব্যান্ড সংযোগ এখন ৮০ লাখ ৮৪ হাজার। এই সময়ে দেশে মোবাইল ইন্টারনেট সংযোগ এক ধাক্কায় কমে যায়। দেশে এখন কার্যকর মোবাইল ইন্টারনেট সংখ্যা ৯ কোটি ৩১ লাখ। যা এক মাস আগে মার্চেই ছিল ৯ কোটি ৫১ লাখ।

ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার এসোসিয়েশনের- আইএসপিএবি মহাসচিব ইমদাদুল হক বলেছেন, এপ্রিলে মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা কমলেও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা কিন্তু কমেনি। বরং বেড়েছে। মূলত যারা আগে মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার করতেন তাদের অনেকেই এখন বাসায় থাকেন। ফলে তারা ডাটা খরচ কমাতে এবং স্বাচ্ছন্দ্যে ঘরে বসেই অফিসের কাজ সারতে মোবাইলের পরিবর্তে ওয়াইফই ব্যবহার করে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহার করেছেন।

লাইটনিউজ/এসআই

আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2020 Lightnewsbd

Developer Design Host BD